বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শেষ দিকে সাউদার (বিনতে সানজিদা) সঙ্গে আমার পরিচয়। আমি ছিলাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্র আর সে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিতে পড়ত, আমাদের দুই বছরের জুনিয়র। ক্যাম্পাস ছেড়ে আসার পরও তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকল।
২০১৮ সালে কানাডায় চলে যাই। পড়াশোনা শেষ করে কানাডার ডিজিটাল মার্কেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থ্রাইভ ডিজিটালে কাজ নিই। এর মধ্যে ২০১৯ সালে সাউদাও কানাডা চলে যায়। বায়োটেকনোলজি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করে।
একই দেশের দুই শহরে থাকি। দুজনের যোগাযোগটা বাড়ে। একসময় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। নিজেদের এ সিদ্ধান্তের কথা পরিবারকে জানাই আমরা। পরিবার থেকে সবুজসংকেত আসে। তারপরই অনেক দিনের অপূর্ণ একটা স্বপ্নপূরণের তোড়জোড় শুরু করি। যে স্বপ্নের কথা সাউদা আগে থেকেই জানত—উড়োজাহাজে বিয়ে।
ছোটবেলা থেকেই আমার যানবাহনপ্রীতি। কোন বাহন কীভাবে তৈরি হয়, চলে কোন প্রযুক্তিতে, সুবিধা-অসুবিধা কী—এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম আর বিস্ময়ে বিহ্বল হতাম। উড়োজাহাজের বিভিন্ন মডেল, চালনার পদ্ধতি, কোন যন্ত্রাংশের কী কাজ, বিভিন্ন সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পড়াশোনা করতাম। আশপাশের মানুষের সঙ্গে গল্প করতাম। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখা সে বয়সে কল্পনার শামিল ছিল। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে অন্য কিছু করতাম। যেমন একবার ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট করার জন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জেনারেল ডিউটি পাইলটের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। এই সব করতে করতেই একসময় মাথায় এল আচ্ছা প্লেনে বিয়ে করলে কেমন হয়?