মৌলভীবাজারের শমসের নগর এলাকায় পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হককে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কমলগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াদুস হাসান, স্থানীয় চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান, শমশেরনগর স্টেশনের মাস্টার জামাল হোসেন ও মৌলভীবাজার ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা।
জানা যায়, ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে আসে। ট্রেনটি হবিগঞ্জের নোয়াপাড়া নামক স্থানে আসার পর পাওয়ার কারে ধোয়া দেখে দায়িত্বশীলরা সেখানে ট্রেন থামিয়ে ত্রুটি নিরসন করে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর স্টেশন থেকে ট্রেনটি দুই কিলোমিটার যাওয়ার পরই পাওয়ার কারসহ তিনটি বগি অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে। এ সময় ট্রেনটি থেমে গেলে যাত্রীরা নেমে যান। পরে যাত্রীদের সহযোগিতায় ট্রেনের লোকজন আগুন লাগা তিনটি বগি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় ট্রেনের জেনারেটর বগি ও পার্শ্ববর্তী যাত্রীবাহী দু’টি এসি বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও কমলগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে সর্বমোট চারটি অগ্নিনির্বাপক দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার খবর পেয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার, কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ, রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা খায়রুল কবিরসহ প্রশাসন ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঢাকা থেকে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসছেন। এ ছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই রুটে রেল যোগযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।