অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনীর দরকার নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন একেবারেই দরকার নেই। কারণ, নির্বাচন পরিচালনায় তারা কোনো কাজে আসে না। নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা তাদের পেছনে চলে যায়। এমনকি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনেরও প্রয়োজন নেই।’
রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের সাথে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়।
নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে যতই স্বাধীন বলুন না কেন, কিছু কাজ সরকারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আচরণবিধি মানার ক্ষেত্রে কমিশনকে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।’
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রায় একটা থানার সমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকে। তাছাড়া ইভিএম এমন একটা বিষয় যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচন আমাদের জনবল দেয়া হয়েছিল। যারা যোগ্য তাদের রাখতে হবে। আর কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসনকে রাখতে হবে। অনেক অভিযোগ থাকবে। সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক অভিযোগ সত্যও হয় না।
‘এখন নির্বাচন পরিস্থিতি ভিন্নতর। আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে যোগ্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে’ বলে প্রস্তাব রাখেন নূরুল হুদা।
গত মার্চ থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান ইসি বিভিন্ন মহলের সাথে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে। ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে সংলাপ করে ইসি।