গোপনে যৌনকর্মীর সঙ্গে প্রেম ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এক ফুটবলারের। প্রেমিকার পেছনে খরচ করেছেন ৫৫ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬৩ লাখ টাকার বেশি। সাত মাসের পরকীয়া অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়ল স্ত্রীর কাছে। ক্ষোভে পুষে স্বামীকে পিটিয়ে ঘর ছাড়া করেছেন স্ত্রী। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সান এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে প্রকাশ করেননি ওই ফুটবলারের নাম।
ডেইলি সান জানায়, বাড়িতে নিজের সন্তানের সঙ্গে খেলছিলেন ওই ইংলিশ ফুটবলার। এমন সময় তার মোবাইলে ঢুকতে শুরু করে একের পর এক অশ্লীল ছবি। নিজের নানা রকম লাস্যময় ছবি পাঠাচ্ছিলেন এক সুন্দরী নারী। সে সময় পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী। যা দেখে রীতিমতো রেগে আগুন তিনি।
স্বামীকে একের পর এক প্রশ্নে স্বীকার করতে বাধ্য করেন, ওই নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। ইংলিশ ফুটবলার উভয় সংকটে পড়ে স্বীকার করেন তার সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের কথা। যিনি মূলত একজন যৌনকর্মী। অর্থের বিনিময়ে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সাত মাস ধরে চলছে তাদের প্রেম। সম্পর্কে জড়াতে ওই যৌনকর্মীকে তিনি দিয়েছেন ৩৫ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪০ লাখ টাকার বেশি। শর্ত হল যখন ওই ফুটবলার ফাঁকা থাকবেন, তখন তাকে সঙ্গ দিতে হবে ওই যৌনকর্মীকে।
নগদ অর্থ ছাড়াও ইংলিশ ওই ফুটবলার যৌনকর্মীকে ২০ হাজার পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি মূল্যের উপহার দিয়েছেন। যেখানে আবার ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার একটি নেকলেসও ছিল। এছাড়াও তার সঙ্গে বিলাসবহুল হোটেলে রাত কাটিয়েও খরচ করেছেন কয়েক লাখ টাকা। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার নাম করে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে হোটেলে এবং তার বাড়িতে কাটিয়েছেন একাধিক রাত।
স্বামীর মুখে এত কিছু শোনার যেন আকাশ থেকে পড়েন স্ত্রী। এরপর স্বামীর মোবাইল ঘেঁটে আরো অবাক হন। ম্যাসেঞ্জারে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে স্বামীর দীর্ঘ প্রেমালাপ দেখে আরো রেগে যান তিনি। বুঝতে পারেন কেন তার স্বামী নিজের ফোনটি কিছু দিন ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে রাখতেন। কারোর হাতে দিতেন না। কেউ ধরলেও সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিতেন। এমনকী স্নান করতে যাওয়ার সময়ও সঙ্গে নিয়ে যেতেন মোবাইল ফোন। এর পর নিজেকে আর সামলাতে পারেননি ওই ফুটবলারের স্ত্রী। উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিড়ারিত করেছেন ঘর থেকে।
এ পর্যন্ত বিষয়টা নিজেদের মধ্যেই ছিল। তবে স্বামী সব কথা ঠিক বলছেন কী না তা জানতে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের স্ত্রীদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি জানান তার স্ত্রী। আর তাতেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর মধ্যে স্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে নিজেকে শোধরানোর প্রতিজ্ঞা করেন ইংলিশ ফুটবলার। ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে আর কখনো যোগাযোগ করবেন না বলে কথা দেন। তাতে কিছুটা স্বাভাবিক হন তার স্ত্রী। কিন্তু পরবর্তীতে একই ঘটনা ঘটলে, কঠিন কিছুর হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তার স্ত্রী।