রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে গুলি করে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতের সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও খল অভিনেতা যাদু আজাদ। প্রত্যক্ষদর্শী এই অভিনয়শিল্পী জানালেন, স্ত্রীসহ তিনি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় একটু দূরে ছিলেন তিনি।
কী ঘটেছিল সেদিন জানতে চাইলে যাদু আজাদ বলেন, ‘আমি খাওয়াদাওয়া শেষ করে উপহার জমা দিয়ে পান খাচ্ছিলাম। আর আমার বউসহ কয়েকজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখনই হইচই শুনি। দৌড়ে গেলাম। এতটুকু কানে এল, জায়েদ খান ওমর সানীকে বলছেন, “গুলি করে দেব।” দূর থেকে মনে হচ্ছিল পকেটে হাত দিয়ে পিস্তল বের করছেন। যখন কাছে পৌঁছালাম ততক্ষণে ঝামেলা থেমে গেছে। এরপর ওমর সানী বের হয়ে যেতে যেতে আমাকে বললেন, “জায়েদ আমাকে পিস্তল দেখাইছে। ওরে উল্টা বলেছি পিস্তল…(প্রকাশযোগ্য নয়) ঢুকাব।”’
যাদু আজাদ জানালেন, ঘটনার পরপরই ওমর সানী বের হয়ে যান। এর আধা ঘণ্টা পর বের হন জায়েদ খানও। ঘটনা সম্পর্কে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘তখন তো মারামারি হয়ে গেছে। দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে ওমর সানীকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে? ওমর সানী তখন আমাকে বলল, “আমি জায়েদকে কষে চড় দিয়েছি। এরপর জায়েদ খান আমাকে মারার জন্য পিস্তল বের করেছিল”, এই কথা বলতে বলতে বের হয়ে গেল ওমর সানী। ডিপজল ভাইয়ের মধ্যস্থতায় শান্ত হওয়ার পর দুজনকেই খেয়ে যেতে বললেন। কিন্তু কেউই খায়নি। বের হয়ে গেছে। তবে ঘটনাটি বেশি সময় ধরে হয়নি।’
কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আপনার মনে হয়? যাদু আজাদ বলেন, ‘ওমর সানীর কাছ থেকে শুনেছি, অনেক দিন থেকেই মৌসুমী ভাবিকে ডিস্টার্ব করে আসছিল জায়েদ খান। ওমর সানী নিষেধ করলেও নাকি শুনছিল না জায়েদ। এ জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই জায়েদকে খুঁজছিল ওমর সানী। ওই দিন অনুষ্ঠানে পেয়ে গেছে। পাওয়ার পরই চড়টা মেরেছে।’
জায়েদ খানের কাছে পিস্তল থাকা প্রসঙ্গে যাদু আজাদের প্রশ্ন, জায়েদ খানকে কেন পিস্তল দেওয়া হয়েছে? সে কি বড় ব্যবসায়ী? সে কি কোনো বিখ্যাত মানুষ? কেন তার কাছে এ ধরনের পিস্তল থাকবে? আমি মনে করি এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে তার পিস্তলের লাইসেন্স বাতিল হওয়া উচিত।’