দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিক্যাল দিক থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। বিদেশের সিনেমার মতো অ্যাকশন তার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অনন্ত জলিল। দীর্ঘ সাত বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন এ নায়ক। বরাবরের মতো এতেও তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা। আসছে ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাদের অভিনীত ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমাটি।
শনিবার (১১ জুন) সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন অনন্ত জলিল। সেখানে স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা বর্ষাকে নিয়ে হাজির হন তিনি। শুরুতেই সিনেমাটির বিহাইন্ড দ্য সিন এবং দুটি ট্রেলার দেখান এ নায়ক।
নিজের বক্তব্যের শুরুতেই অনন্ত জলিল বলেন, ‘অনেকেই মজা করছেন যে, ১০০ কোটি টাকায় অনন্ত জলিল কি সিনেমা বানাল? এ জন্যই আপনাদের বিহাইন্ড দ্য সিনটি দেখালাম। পাশাপাশি দুটি ট্রেলারও দেখলেন। ট্রেলার দেখে আপনারা প্রশংসা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটি মুক্তি পেলে দর্শকরাও জবাব পেয়ে যাবেন কেমন সিনেমা বানিয়েছি। টম ক্রুজের সিনেমায় যেমন সাউন্ড পাওয়া যায়, দিন দ্য ডে-তেও তেমন ফিল পাবেন। এই সিনেমার মাধ্যমে দেশের অনেক বন্ধ হল খুলবে।’
এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি সিনেমার পরিবেশ সুস্থ ও সুন্দর রাখার আহ্বান জানান অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, ‘সিনেমার বাজার এখন অনেক বড়। অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু এফডিসির পরিবেশ ভালো না। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। একজন আরেকজনের পেছনে লাগে, দোষারোপ করে। এ জন্যই কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না। তবে আশার কথা হলো, আমাদের সবার প্রিয় কাঞ্চন ভাই শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি ভালো মানুষ। আশা করছি, তিনি সিনেমার সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন। সবাইকে নিয়ে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করবেন। এতে করে আমাদের সিনেমা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন দ্য ডে’। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নী করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রবাসে যান, তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। বাংলাদেশ, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান এই চার দেশ মিলিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় উঠে আসবে সেই সব লোহমর্ষক প্রেক্ষাপট।
ইরানের নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজমের পরিচালনায় এতে আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন অনন্ত জলিল। নানা রকম ভুল মতবাদে আসক্ত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দমন অভিযানে অংশ নেবেন তিনি। এতে ইসলাম ধর্মের সঠিক ও সুন্দর বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই সিনেমাটিতে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন অনন্ত জলিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইরানের অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন।