পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার যানবাহন। এতে সাশ্রয় হবে সময়, কমে আসবে লঞ্চ ও ফেরির গুরুত্ব। তবে এখনই গুরুত্ব হারাচ্ছে না এই নৌরুট অর্থাৎ শিমুলিয়া ঘাট। সেখানে চালু থাকবে ফেরি ও লঞ্চ।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী জানান, ৩০ টনের বেশি ওজনের ট্রাক পারাপার ও বিকল্প রুট হিসেবে এ ঘাট সচল থাকবে। তবে কমে যাবে ফেরির সংখ্যা। বেশি ওজনের ট্রাক ও সেতুতে রেললাইন বসানোর কারণে আসতে পারে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া এখন আয়ের উৎস ধরে রাখতে বিকল্প রুট খুঁজছে বিআইডব্লিউটিসি। এরই মধ্য করা হয়েছে ৮-৯টি রুট সার্ভে।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাট সম্পর্কে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও শিমুলিয়া ঘাট থাকবে। এই ফেরি সার্ভিসের চাহিদা আছে। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এই রুটটি বেছে নেবে। কারণ ফেরিতে তাদের একটি বিশ্রাম হবে। পণ্যবাহী যানবাহনের জন্যও এর চাহিদা থাকবে।
পর্যটন ও ইকোজোন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে থামিয়ে রাখা যাবে না, নদী বহমান। নদীকে ঘিরেই আমাদের জীবন জীবিকা। নদীর সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা বন্ধ করা যাবে না। এসব অব্যাহত থাকবে।
যদিও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি রুটে ফেরিতে বড় গাড়ি পারাপার বন্ধ। তারপরও এই দুই রুটে দিনে পার হয় দুই থেকে আড়াই দুই হাজার গাড়ি, আয় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।