প্রথমে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ডাকাতি। সেই গাড়ি নিয়ে হাইওয়েতে পুলিশ পরিচয়ে দেয় টহল। তল্লাশির নামে পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে করা হয় ডাকাতি। আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ডাকাতি করে আসছিল।
পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, দলপতির নামে ১৭ মামলা
নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকায় টোলপ্লাজা অতিক্রম করে মাইক্রোবাসে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। দলটি পরে যশোর থেকে ২৭০ বস্তা চিনিগুড়া চালসহ একটি ট্রাক ডাকাতি করে। পরে রাজধানীর মিরপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দলটির চার সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
দলটির প্রধান আসলামুল হক আসলাম পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড। এ লাইনে সবাই তাকে মাস্টার বলে ডাকে। তার নামে মামলা আছে ১৭টি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নামে অনেক মামলা রয়েছে। সব কটিই ডাকাতিসংক্রান্ত। এসব মামলায় ধরা পড়ার পর আবার বের হয়ে একই কাজ করতে থাকে তারা।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি গ্রুপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে। বহু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অনেক সময় তথ্য না পাওয়ার কারণে ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয় না বলেও জানান হারুন অর রশিদ।
এদিকে আসলাম গ্রুপের ডাকাতি করা চারটি গাড়িসহ বিদেশি পিস্তল এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে হাইওয়েতে ডাকাতি করত চক্রটি।
ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, মহাসড়কে পুলিশের পোশাক পরে দাঁড়িয়ে থাকে এই দলের সদস্যরা। তখন চালকরা মনে করে তারা মনে হয় পুলিশের লোক। ফলে সিগনাল দিলেই গাড়ি থামায়, আর এই সুযোগে তারা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, বেশি ডাকাতির শিকার হয় মালবাহী ট্রাক। চাল, ডাল, তেল ও মাছের ট্রাক থামিয়ে চালককে বেঁধে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতি বা চুরিসংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ থানায় বা ডিবি পুলিশের কাছে পৌঁছানোরও অনুরোধ করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। বলেন, এতে ডাকাতদের ধরা অনেক সহজ হয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, দলটি একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করত।