রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সোমবার বিকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
এছাড়া ভাঙনে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদীভাঙনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।
সরেজমিনে জানা গেছে,উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে ৬ কিলোমিটার এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বগুড়াপাড়া, রামহরি, খিতাব খাঁ ও বুড়িরহাটে তীব্র ভাঙনে গত কয়েক দিনে ২৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যারা ভাঙনের মুখে রয়েছে, তারা ভাঙন প্রতিরোধের আর্জি জানিয়েছে।
ঘড়িয়ালডাঙার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক জানান, তিস্তার ভাঙনে ইউনিয়নের শত শত বিঘা আবাদি জমি চলে গেছে। ৪০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। তাছাড়া গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সোমবার(১৩জুন) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর বেশ কিছু জায়গা আমরা প্রটেক্ট করেছি। এখন নতুন নতুন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাধ্যমতো ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছি। তবে মেগাপ্রকল্পের কাজ শুরু হলে তিস্তা নদীশাসন করা সম্ভব হবে।