আরামদায়ক আর ঝক্কি-ঝামেলা কম হওয়ায় বরিশালসহ এ বিভাগের বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতে নৌপথকেই বেছে নেয়। ঢাকা-বরিশাল নৌপথে দিনে একটি আর বাকি সব লঞ্চ চলে রাতে। সময় লাগে ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টা।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুতে সড়কপথের পাশাপাশি নৌরুটেও আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ঢাকা-বরিশাল রুটে নামছে আরও বিলাসবহুল লঞ্চ। প্রায় শত কোটি টাকার চোখ ধাঁধানো এ লঞ্চ যাত্রী আকর্ষণ করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা কমবে না আশা মালিকপক্ষের।
তারপরও লঞ্চ মালিকরা পদ্মা সেতু চালু হলেও যাত্রী কমার কোনো আশঙ্কা নেই বলছেন। যাত্রী আকর্ষণে বিলাসবহুল আরও অত্যাধুনিক লঞ্চ নদীপথে নামতে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।
যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু হলে যারা লঞ্চের যাত্রী তার লঞ্চেই যাবে। এছাড়া নিরাপদে নদীপথে অল্প সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন বলে জানান তারা।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে নদীপথে অল্প খরচে নিরাপদে এবং আরামদায়কভাবে যেতে পারবেন। আর এতে নদীপথে গতি বাড়বে বলে জানান তিনি।
ঢাকা-বরিশাল নৌপথে প্রতিদিন এখন বিশালাকৃতির ৭ থেকে ৮টি করে লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিটি লঞ্চে অন্তত ৪ থেকে ৫ হাজার যাত্রী পরিবহন হয়। কুরবানি ঈদের আগেই অত্যাধুনিক বিলাসবহুল ৩টি লঞ্চ বহরে যুক্ত হচ্ছে।