তিস্তা সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়নে দেড় হাজার কোটি টাকার সেচ প্রকল্প সংস্কারে সাড়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়নে কাজও শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে সেচ সুবিধা ৬০ হাজার হেক্টর থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে উন্নীত করা হবে। ব্যারাজের অপারেশনে অটোমেশন সিস্টেমের সংস্কার ছাড়াও রঙের কাজ শুরু হয়েছে। শতাধিক শ্রমিক ঘষামাজা ও রঙের কাজ করছে কয়েক সপ্তাহ ধরে।
৩২ বছর পর রঙের এই কাজ শুধু সৌন্দর্য বাড়াতেই নয় দেশের সবচে’ বড় সেচ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল স্থাপনাটির স্থায়িত্ব বাড়াবে বলে দাবি করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, যেসব রং উঠে গিয়েছিল। সব জায়গায় রং করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্টিল ব্রাশ দিয়ে পলিশ করা হচ্ছে। তাতে ব্যারাজের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।
সাইফুন, রেগুলেটর, স্লুইসগেট, ইক্যুয়েডাক্টসহ ৩ দশকের বেশি পুরনো ৭০৭ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ও টার্সিয়ারি ক্যানেল সিস্টেম সংস্কার ছাড়াও কৃষকের জমি পর্যন্ত সেচের পানি পৌঁছে দিতে আউটলেটের সংখ্যা ২৫১টি থেকে বাড়িয়ে ৭১৯টি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, এই ব্যারাজ করা হয়েছে জনগণের উন্নয়নের জন্যে। কিন্তু আমাদের যখন পানি দরকার তখন পাই না। আর যখন দরকার নাই পানিতে সব ডুবে যায়।
সেচ দেয়ার বর্তমান সক্ষমতা ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি একটি স্কেপ সিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে উজানের ঢল বা বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা যাবে। আবার আশপাশের নদী, উপনদী বা শাখা নদীতেও ফেলা যাবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্বাহী প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজ বলেন, আমরা সংস্কার করে এর ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করেছি। এ ছাড়া বাড়তি যে পানি আমরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিপদসীমার নিচে রাখি এখন তা বিভিন্ন শাখা নদী এবং ক্যানেলে দিতে পারব।
দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯০ সালে তিস্তা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়