চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও ওমর সানী বিতর্ককে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওমর সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের ফুটফুটে দুটি সন্তান আছে। আরও একটি সন্তান আসছে ইনশাল্লাহ। আমাদের সুখের সংসার।’
মৌসুমী-ওমর সানী ও জায়েদ ইস্যুতে এই কলরেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পরই আলোচনা শুরু হয় মৌসুমী-সানীর পরিবারে নতুন অতিথির আগমনকে ঘিরে। তবে বিষয়টি পুরোটাই গুজব বলে জানালেন এই অভিনেতা। গণমাধ্যমকে ওমর সানী জানিয়েছেন, তিনি কথাটা ওইভাবে বলেননি। মাঝের কথা ফেলে দিয়ে এডিট করে কথাটা ওভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
এই অভিনেতার ভাষ্য, যারা এটা করছেন তারা কেনো করছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। অনেক গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কাল কথা হয়েছে। কে বা করা এটা এভাবে এডিট করে ছড়িয়েছে সেটা জানি না। তবে কাজটি ঠিক করেনি।
এদিকে সেদিনের ঘটনা ও জায়েদ খান প্রসঙ্গে এই নায়ক বলেছেন, জায়েদ প্রসঙ্গে এই নায়ক বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমি দেখছিলাম মৌসুমীর দিকে জায়েদ খানের একটা খারাপ নজর রয়েছে। তাকে আমি বিষয়টা নিয়ে বেশ কয়েকবার সাবধানও করেছিলাম। তবুও দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমীকে বিরক্ত করে আসছে। ইজ্জতের জন্য বিষয়টা নিয়ে চুপ ছিলাম। পরে ডিপজল মামাকে বিষয়টা জানাই। এরপর ১০ তারিখে তার ছেলের বিয়েতে আমার জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা হয়। ওকে সামনে পেয়েই আমি চড় বসাই। সঙ্গে সঙ্গে, ও কোমরে হাত দিয়ে পিস্তল বের করার ভঙ্গিমায় আমাকে হুমকি দেয়।
মৌসুমীকে নিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২৭ বছরের সংসার। এত লম্বা সময়ে কখনোই তার কাছ থেকে কোনো অশালীন আচারন পাইনি। সংসার জীবনে মা হিসেবেও তিনি সফল, স্বামীর প্রতিও একজন স্ত্রী হিসেবে সফল। তিনি একজন চমৎকার নারী।’
এদিকে সোমবার দুপুরে মৌসুমী-সানীর ছেলে ফারদিনের সঙ্গে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কথা বলেছে। মৌসুমী-সানীর ছেলে ফারদিন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “জায়েদ খানের বিষয়ে সবাই মোটামুটি জানেন। শুধু আমার আম্মু না, তিনি কমবেশি সবাইকে হ্যারাস করে থাকেন। তিনি আমার আব্বুর সঙ্গেও বেয়াদবি করেছেন, আম্মুর সঙ্গেও করেছেন। কিন্তু আম্মু ভেবেছেন, বিষয়টা সিভিল ম্যাটার, এটা ফ্যামিলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমরা নিজেরাই সলভ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “এটা নিয়ে যেন এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না হয়, সেই চিন্তা থেকেই আম্মু কথাগুলো বলেছেন। যেন বিষয়টা দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। এক জায়গায় দেখলাম আম্মু নাকি বলেছেন, মিথ্যাচারে জড়াচ্ছেন ওমর সানি। এটা আসলে ঠিক না। আম্মু যদি কোথাও স্টেটমেন্ট দেয় আমি বলব, এটা ঠিক না। আসলে এটা পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার জন্যই বলেছেন। আম্মু আমার সাথে কথাও বলেছেন। উনিও চান নাই পত্রিকায়-টিভিতে এসব নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশ হোক।”
বাবা-মার মধ্যে সম্পর্ক এখন কেমন, জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, “সব ঠিক আছে। আমি তো আমার আব্বুকে পাচ্ছি, আম্মুকে পাচ্ছি। হ্যাঁ, অনেক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকে। আমিও বিয়ে করেছি। আমাদেরও তো হয়। এটা স্বাভাবিক। তবে আব্বু আম্মু দুজন চাচ্ছেন যেন বিষয়টা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। ছেলে হিসেবে আমি তো আব্বু আম্মু দুজনকেই চাইব। দিন শেষে আমার চাওয়া যেন এটা দ্রুত সমাধান হয়।”
ফারদিন আরও বলেন, “২০২২ সালে এটা হাইলাইটস করার মতো কোনো বিষয় না। তবে সত্যি কথা হলো উনি (জায়েদ খান) ডিস্টার্ব করেন। আমি চাইলেও এখন প্রমাণ সবার সামনে হাজির করবো না। উনি আমার ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। এগুলো হয়ত প্রমাণ দিতে পারব না। আমি জানি বিষয়গুলো, পাবলিকলি সব বলবোও না। তবে উনাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাবো এমন না। উনাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি না। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক কথা। তাই উনাকে নিয়ে ভাবছি না।”