সম্প্রতি প্রকাশিত পাকিস্তানের ২০২১-২২ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশটিতে গাধার সংখ্যা ফের বেড়েছে। সারা বিশ্বে গাধার সংখ্যার নিরিখে দেশটির অবস্থান এখন তৃতীয় স্থানে।
শুক্রবার (১০ জুন) পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এক লাখ বেড়ে দেশটিতে গাধার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৫৬ লাখে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেই সংখ্যাটি ছিল ৫৫ লাখের মতো।
এদিকে দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে কেবল গাধাই নয়, বেড়েছে মহিষ, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া, উট ও খচ্চরসহ অন্য পশুর সংখ্যাও।
দেশটিতে ৪ দশমিক ৩৭ কোটি মহিষ, ৩ দশমিক ১৯ কোটি ভেড়া এবং একই সংখ্যক ছাগল রয়েছে। এমনকি ১১ লাখ উট, ৪ লাখ ঘোড়া ও ২ লাখ খচ্চর রয়েছে পাকিস্তানে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইমরান খান সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। দেশটিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
যেভাবে গাধার সংখ্যা বাড়ছে তাতে ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান এখন প্রাণিসম্পদ রফতানির দিকে আগের চেয়েও বেশি মনোযোগ দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০২১-২২ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ‘সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন করে মনোযোগ দিচ্ছে।’
নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রতি বছর বিদেশেও গাধা রফতানি করে পাকিস্তান। এ দেশ থেকে প্রাণীটির প্রধান আমদানিকারক চীন। চীনে গাধার চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তথ্য বলছে, গাধা রফতানি করে পাকিস্তান প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এর চামড়া থেকে তৈরি জেলটিনের ওষুধি গুণ রয়েছে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
চীনে গাধার চাহিদা এতই বেশি যে, এক সময় চীন থেকে গাধা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এমনকি দেশটির কারণে সারা বিশ্বে গাধার সংখ্যা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
গাধার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। চীন আছে প্রথম স্থানে, তবুও তারা গাধা আমদানি পিছিয়ে নেই।