প্রেম আর বিয়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে,যদিও প্রেম বিয়েতে গড়ায়। কিন্তু বিয়ে এমন এক বন্ধন, যা চায় আরও প্রতিশ্রুতি, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মান বোধ ও আন্তরিকতা; সেই সঙ্গে দায়িত্ব তো রয়েছেই।
তো, যে আপনার জীবনসঙ্গী হবে, আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন আপনার প্রতি ওই ব্যক্তি সৎ হোক।প্রত্যেক নারীই চায় এমন স্বামী পেতে, যে তাকে বুঝবে, ভালোবাসবে ও যত্নবান হবে। কিন্তু এমন সময় আসে, যখন নিজের প্রেমিক নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় অনেকে। মনে এ প্রশ্নের উদয় হয়, ‘স্বামী হিসেবে কেমন হবে আমার প্রেমিক?’
তবে দুশ্চিন্তা করবেন না।আমরা আপনাকে কিছুটা আঁচ দিতে পারি। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এমন কিছু পরামর্শ দিয়েছে, যা আপনার প্রেমিককে বুঝতে সাহায্য করবে।
আপনি বলেই আপনাকে ভালোবাসে
দিনে শত বার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে খুদে বার্তা পাঠানোর মানে সে আপনাকে খুব ভালোবাসে, এমন নয়। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার প্রেমিক সত্যিই কি আপনাকে ভালোবাসে? সে কি আপনাকে আপনার মতো করে জীবন যাপন করতে দিতে চায়, না কি আপনাকে বদলানোর কোনও ভাবনা রয়েছে তাঁর মনে? ভালোবাসা মানে শুধু ঘুরে বেড়ানো, মাস্তি করা, ডেটে যাওয়া, খুদে বার্তা পাঠানো আর অন্তরঙ্গ হওয়া নয়। আপনাকে দেখতে হবে, আপনার প্রেমিক আপনাকে সম্মান করে কি না। ভুল-ত্রুটি সবারই থাকে, একেক জনের স্বভাব একেক রকম হয়। সবকিছু মিলিয়েই মানুষ। আপনার প্রেমিক কি আপনার সবকিছু গ্রহণ করতে রাজি? যদি হয়, তো সে নিশ্চয়ই স্বামী হিসেবেও ভালো হবে। যদিও ভালো শব্দটি আপেক্ষি
সে সর্বদা আপনার জন্য প্রস্তুত
যদি পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকে, একে অপরের পাশে থাকা যায়, তবে বিবাহিত জীবন সুখের হয়। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন, আপনার স্বামী আপনার মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করবে, আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করবে, আপনার আগ্রহের মূল্য দেবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু আদেশ আর পালন নয়। সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকা। লক্ষ্য পূরণে একে অন্যকে সাহায্য করা। যদি এমন গুণ প্রেমিকের ভেতর দেখেন, তবে নিশ্চয়ই তা ইতিবাচক লক্ষণ।
আপনার ওপর আস্থা আছে
সম্পর্কে আস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিই সম্পর্কের ভিত মজবুত করে। প্রেমিককে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে এটি যাচাই করুন, তার ওপর আস্থা রাখা যায় কি না। তার প্রতি মনোযোগী হোন। তার সঙ্গীদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। আপনার প্রেমিক কি তার ভাবনা, আবেগ, গোপনীয়তা, পরিকল্পনা ইত্যাদি আপনার সঙ্গে ভাগ করে?
সিদ্ধান্ত নিতে আপনার পরামর্শ নেয়
বিবাহিত সম্পর্ক একই ছাদের নিচে থাকার চেয়ে বেশি কিছু। স্বামী হিসেবে ভালো হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সে আপনার পরামর্শ নেয় কি না। আপনার মতামত জানতে চায় কি না। আপনার মতকে গুরুত্ব দেয় কি না। যদি এসব লক্ষণ দেখেন, তো এগিয়ে যান।
আপনার ভাবনা ও বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়
প্রত্যেকের নিজস্ব ভাবনাচিন্তা ও বিশ্বাস রয়েছে।কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুজন দুজনের সংস্কৃতি, বিশ্বাস, চিন্তা ও মতকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারও বিশ্বাসকে কটাক্ষ করা চলবে না। যদি এসব গুণ প্রেমিকের মধ্যে দেখেন, তো বিবাহের দিকে পা বাড়ান।
আপনার প্রতি সৎ
সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী যদি অসৎ হয়, তবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। তাই সম্পর্কে স্বচ্ছতা জরুরি। বিবাহিত জীবনে আস্থা ও সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রেমিক যদি আপনার প্রতি সৎ হয়, তবে সে নিশ্চয়ই ভালো স্বামী হবে।
আপনাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চায়
প্রেমিক কি আজীবন আপনার সঙ্গে থাকতে চায়? এ প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের বদভ্যাস থাকে। এমনও হতে পারে, সে আপনার জন্য সেসব ত্যাগ করবে। আপনাকে গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, আপনি তার জীবনসঙ্গী। সম্পর্ক লুকিয়ে রাখবে না এবং পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেবে আপনাকেই সে বিয়ে করতে চায়।
কেউই নিখুঁত নয়। দুজন আলাদা সংস্কৃতির মানুষ যখন একত্র হয়, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে। ভালোবাসার জন্য চাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, গ্রহণ করতে শেখা আর আন্তরিক ভাবে নিজের ভাবনা প্রকাশ করা। আমরা তো শুধু কিছু ইঙ্গিত দিতে পারি, কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার।