বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি না। আশার সঞ্চার হয়েছিল এ নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা যায় কি না। কিন্তু সরকার বার বার চেষ্টা করছে প্রভাব বিস্তার করে সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার।
তিনি বলেন, সরকারের কারণেই আওয়ামী লীগের এমপি সেখানে অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দেয়ার পরও তিনি সেখান থেকে বের হননি। ফলে নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় কুমিল্লা নির্বাচন শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। সে কারণে নির্বাচন কমিশনে যেই থাকুন না কেন, যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে কোনোভাবেই সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।
আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করা হচ্ছে, আগামীতে আরও বড় আন্দোলন করা হবে।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী যা করছেন, তার নৈতিকতায় পড়ে না। তিনি পাচার করা টাকা বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার নিজস্ব ফার্ম মালয়েশিয়াতে আদম ব্যবসার সঙ্গে বহুকাল থেকে জড়িত, এখনো জড়িত। এগুলোতো তারা করছেন। তারাই আবার বিদেশে টাকা পাচার করছেন, তারাই আবার বৈধ করার জন্য আইন করছেন।
এ দেশটা এখন তো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এটাকে একটা বর্বর অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যা সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়েছে