মীর আফসার আলী। কলকাতার সেরা সঞ্চালকের একজন তিনি। এদেশেও তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। ছুটে বেড়িয়েছেন ঢাকা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায়।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মীর। সেখানে তাকে হোটেলের বিছানায় দাঁড়িয়ে অশ্লীল ভঙ্গিতে নাচতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে গানও গাইছিলেন তিনি। পরনে শুধু পাঞ্জাবি দেখা যাচ্ছে।
ক্যাপশনে লিখেছেন, শুটিংয়ের সময় যখন বিরক্ত হই, মাঝেমাঝে আমাদেরও একটু মজা করতে ইচ্ছে করে।
তবে মীরের এমন ভঙ্গিতে নাচ ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে উঠেছে কমেন্টবক্স।
তাজুল ইসলাম ছোটন লেখেন, ‘এই ভিডিওতে মজাটা কি অনেকক্ষণ খুঁজলাম। আনফরচুনেটলি ভাড়ামি খুঁজে পেলাম।’
লুৎফর হাসান লিখেছেন, ‘মানুষ এক সময় ফুরিয়ে যায়। আপনি প্রমাণ করলেন।’
সৈকত আহমেদ লিখেছেন, ‘যাদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু শিখবো, তারাই অন্ধকারে! সেই অন্ধকারে মীর প্যান্ট খুঁজে পাননি।’
আখতারুজ্জামান আজাদ লেখেন, ‘মীর ভাই, বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার যে সক্ষমতা আপনি রাখেন, আপনার যে সুগভীর রসবোধ; তা দিয়েই আপনি সবাইকে আমৃত্যু মাতিয়ে রাখতে পারেন। আপনি দুই বাংলার সেরা উপস্থাপকদের একজন। এ ধরনের ভিডিওধারণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঠিক আছে, নিজেরা নিজেরা মজা করার জন্য এসব করা যেতেই পারে। কিন্তু এমন ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশ করা আপনার জন্য একেবারেই নিষ্প্রয়োজন।’
চৈতালী দাস লিখেছেন, ‘নিম্নমানের রসবোধ। এভাবে বাংলার শিল্পীরা বাংলার মানকে ছোট করবেন না। বাংলা সকলের, তাই লিখতে বাধ্য হলাম।’
আবু সাইদ বাপ্পী লেখেন,‘স্যান্ডির নতুন ভার্সন। আরও অনেকেই স্যান্ডি সাহাকে জড়িয়ে মন্তব্য করেছেন।’
সুপর্ণা বর্ষা লিখেছেন, ‘আপনার মেয়ে এটা দেখলে খুব লজ্জা পাবে।’
প্রিয়াম প্রিয়া লেখেন, ‘আপনার থেকে এটা আশা করিনি মীর দা। আপনি একজন নামীদামী উপস্থাপক, আপনার যেই রসবোধ সেটা দিয়েই আপনি সারাজীবন মানুষকে মাতিয়ে রাখতে পারেন। এই ধরনের ফাজলামো করার কোনো প্রয়োজনই ছিলো না। তাছাড়া এই ফাজলামোটা একান্তই ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক আছে, জনস্মুখে দেখানোর কোনো প্রয়োজন ই ছিলো না। আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা চলে গেলো।’
উর্মি রায় লেখেন, ‘এসব নোংরামির কোনো মানে হয়! নিজের মানটা এতো নিচে নামিয়ে এনেছেন! পরিবারের লোকেরা দেখে প্রসংশা করেছে?’
কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘মীরের মত লোক এই ভিডিওটি কিভাবে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড দিতে পারলো? ভিডিওটি দেখে আমি হতবাক। তার নূন্যতম কমনসেন্স প্রয়োগ করার দরকার ছিল। তার কাছে এমন যৌন-সুড়সুড়িমূলক ভিডিও কেউ আশা করেনি।’
মুন আহম্মেদ লিখেন, ‘হাজারটা ভালো কাজের পর মানুষের নাম ডাক হয়। অনেক চরাই উতরাই পার করে মানুষের ক্যারিয়ারে সফলতা আসে। আর একটা ভুল আপনার এত দিনের ক্যারিয়ারের সফলতাও এক নিমেষে শেষ করে দিতে পারে। সবাইকে সব কিছুতে মানায় না। পাবলিকের কাছে আপনার যে ইমেজ বা ওয়েটা ছিলো তা আপনি নষ্ট করে দিলেন। আপনার কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি।’
প্রসঙ্গত, ভারতের ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিষেক হয় মীরের। এরপর ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’ শিরোনামের অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনা করেন। তবে জি-বাংলার ‘মীরাক্কেল’-এর মাধ্যমে উপস্থাপক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীত চর্চাও করেন মীর। ‘ব্যান্ডেজ’ নামে তার একটি গানের দল রয়েছে।