টোল দিতে পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামাতে হবে না। কারণ টোল বুথ পার হওয়ার সময়ে গাড়ির স্টিকার স্ক্যান করে টাকা কেটে নেয়া হবে টাচ ফ্রি বা ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমে। তবে পাশাপাশি থাকছে কার্ডে টাকা দেয়ার সুবিধা, রাখা হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিও।
টোল ব্যবস্থাপনা, সফটওয়ারসহ আধুনিক সব ব্যবস্থা নিয়ে আসছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন।
প্রমত্তা পদ্মা বাস-ট্রাকসহ নানা যানবাহন নিয়ে এর অথৈ পানিতে ছুটছে ফেরি। তবে এ যাত্রার সময় ফুরোচ্ছে শিগগিরই। প্রকৃতির বাধা জয় করে নদীর বুকে সগৌরবে দাঁড়িয়েছে সেতু। যা যুক্ত করেছে নদীর দুই পাড়কে।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার এই সেতুতে চলাচল শুরুর প্রথম দিন থেকেই দিতে হবে টোল। এরই মধ্যে ১৩ ধরনের যানবাহনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে টোলহার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সমীক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবে এই সেতু। আর এতে দিনে চলবে ২৪ হাজার যানবাহন। বিপুল সংখ্যার এই যানবাহন থেকে টোল নেয়ার পদ্ধতি জানিয়েছেন সেতু সচিব মনজুর হোসেন।
টোল নিতে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে সাতটি করে ১৪টি লেন। টোল আদায় ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি করেছে সেতু বিভাগ।
টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে সব মিলিয়ে সময় লাগবে ৬ মিনিট। অথচ এ দুরত্ব ফেরিতে পারাপারে সময় লাগত অন্তত দেড় ঘণ্টা।
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। ২৬ জুন সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে।