নবী করিম (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটলেও মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে অনেকটা নীরব ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ইসলামের নবী (সা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেতাদের কটূক্তির নিন্দা জানাচ্ছি। বিজেপি প্রকাশ্যে এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন মানবাধিকারের উদ্বেগ নিয়ে সিনিয়র পর্যায়ে ভারতীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে আমরা ভারতকে উৎসাহিত করছি। খবর এনডিটিভির।
গেল ২৬ মে টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এতে ভারতসহ মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলো কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। যদিও ভারতের সঙ্গে এসব দেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে।
পরবর্তীতে নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। ১৯৯০ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উদীয়মান চীনকে মোকাবিলায় নিজেদের অভিন্ন স্বার্থ বিবেচনায় তাদের মধ্যে অংশীদারত্ব গড়ে ওঠেছে।
ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় সতর্কতার সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মোদি সরকারকে তুষ্ট রেখেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে ওয়াশিংটনকে। এদিকে নবীজি (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় ভারতের ছাত্র আন্দোলনের নেতা আফরিন ফাতেমা ও তার বাবা জাভেদ মোহাম্মদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জুন) বুলডোজার দিয়ে এলাহাবাদ কর্তৃপক্ষ তার বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। এছাড়া আরও দুই মুসলিম পরিবারের বসতবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
দ্য উইয়্যারের খবর বলছে, ভারি পুলিশ প্রহরায় পৌর কর্তৃপক্ষের দুটি বুলডোজার রোববার জাভেদ মোহাম্মদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘরের সামনের ও পেছনের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে জিনিসপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। এরপর বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।