বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বাজারেও জুলাইয়ে আরেক দফা বাড়তে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম। লোকসানের বোঝা কমাতে আর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে দাম বাড়ানোর আগে পরিবহণ খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এর সুনির্দিষ্ট প্রভাব জানতে চান মন্ত্রী।
গত নভেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম দেড়গুণ হয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে দাম বাড়েনি। আমদানি ও পরিশোধন খরচের তুলনায় অনেকটা কমদামে বিক্রি করায় প্রতিদিন বড় অংকের লোকসান দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসিকে। তহবিলে টান পড়েছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানের। এজন্য পরিস্থিতি সামাল দিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হতে যাচ্ছে আরেক দফা।
গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করা হয় ৮০ টাকা। তখন পরিবহণখাতে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপে জনগণের ওপর। এবার তাই আগে থেকেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব জানতে চায় সরকার।
এ নিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, অযৌক্তিক হারে ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ দেয়া হবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাবে নাজুক হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণকে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আরো সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দিচ্ছে সরকার।