এবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদ কিংবা মুস্তাফিজুর রহমান, সবাই আঁটসাঁট বোলিং করলেও খানিকটা খরুচে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে হঠাৎই বদলে যান ডানহাতি এই অফ স্পিনার। শুরুর দিকটায় খরুচে থাকলেও শেষ দিকের দারুণ এক স্পেলে চার উইকেট নেন মিরাজ। তাতে আড়াইশ পেরিয়ে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজের এমন সাফল্যের জন্য মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মিরাজ।
কয়েক স্পেলে বোলিং করলেও নিজের প্রথম ১৬ ওভারে কোনো উইকেট নিতে পারেননি। যেখানে ৪ মেইডেন নিলেও মিরাজ রান দিয়েছিলেন ৪১। তবে শেষের স্পেলে এসে বাজিমাৎ করেন মিরাজ। নিজের শেষ ৭.৫ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ডানহাতি এই অফ স্পিনার নিয়েছেন চার উইকেট।
শুরুর দিকে ঠিক জায়গায় বোলিং করতে না পারায় বেশ খানিকটা হতাশ ছিলেন মিরাজ। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ফোকাসড হতে তাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছিলেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল এবং সতীর্থ তাইজুল। যে কারণে তাদের দুজনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘আমি প্রথম ২-৩ টা স্পেলে হতাশ ছিলাম কারণ ভালো বোলিং হচ্ছিল না, ঠিক জায়গায় করতে পারছিলাম না। মানসিকভাবে ফোকাসড হওয়াটা জরুরী ছিল। সে ক্ষেত্রে আমার সতীর্থ মুমিনুল ও তাইজুল আমাকে দারুণ সমর্থন দিয়েছে। তাদের দুজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
পুরো ম্যাচে পেসারদের দাপট থাকলেও একমাত্র স্পিনার হিসেবে দাপট দেখিয়েছেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন নিজের সাফল্যের রহস্য। ড্যারেন গঙ্গার সঙ্গে আলাপচারিতায় মিরাজ জানান, উইকেট ধীরগতির হওয়ায় উইকেট পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে রান আটকানোতেই মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই কিনা মিলেছে সাফল্য।
মিরাজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় উইকেট কিছুটা ধীরগতির ছিল। এই উইকেটে শুধু একই জায়গায় বল করে যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। এতে করে ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আমি আসলে তখন ডট বল দেওয়াতে মনোযোগ দিয়েছি।। এরপরই সাফল্য এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দুই-তিন স্পেলে আমি উইকেটের জন্য বল করেছি। এটাই সমস্যা হয়েছিল। এরপর আমি রান আটকানোর দিকে যাই। ওভারপ্রতি আড়াই রানের মতো দিলে সুযোগ আসবে বলে মনে করেছিলাম। এমনই হয়েছে।’