পবিত্র হজ পালনে সৌদি পৌঁছেন বিভিন্ন দেশের হাজিরা। আকাশপথের পাশপাশি নৌপথ ও স্থলপথেও দেশটিতে প্রবেশ করছেন হজযাত্রীরা। ইতিমধ্যে স্থলপথে এসেছেন পাশ্ববর্তী দেশ ইরাকের ৮ হাজার হজযাত্রী। গতকাল শনিবার (১৮ জুন) সৌদির আল জাউফ অঞ্চলের আবু আজরাম সেন্টারে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবার সমন্বিত কার্যক্রমে তাদের প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়।
স্থলপথে আসা হজযাত্রীদের স্বাগত জানান- দামাতুল জান্দালের গভর্নর ড. তালাল মিশাল আল তিময়াত ও আবু আজরাম সেন্টারে প্রধান বদর বিন তারাদ আল শামরি। এসময় ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তাছাড়া প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে কোরআন ও গাইড বই বিতরণ করা হয়।
এদিকে গত শুক্রবার (১৭ জুন) জাহাজযোগে সুদান থেকে জেদ্দা ইসলামিক বন্দরে পৌঁছে হজযাত্রীদের প্রথম দলকে নিয়ে আসা আল আমানাহ জাহাজ। ১৫১৯ হজযাত্রীকে গোলাফ ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বন্দরের প্রধান মাজেদ বিন রাফিদ আল আরকুবি।
এ বছর সারা বিশ্বের ১০ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সৌদি থেকে ১৫ শতাংশ ও সারা বিশ্ব থেকে ৮৫ শতাংশ হজযাত্রী থাকবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবারের হজে অংশ নিতে সবদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হাজি অংশ নেবে ইন্দোনেশিয়া থেকে। দেশটি থেকে এক লাখ ৫১ জন অংশ নেবে। পাকিস্তান থেকে ৮১ হাজার ১৩২, ভারত থেকে ৭৯ হাজার ২৩৭ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে অংশ নেবেন।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর সীমিতসংখ্যক হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছেন। মহামারির আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে হাজার সীমিতসংখ্যক লোক হজ পালন করেন।
সূত্র : আরব নিউজ