আবেদনময়ী নায়িকা রেখার চোখের ইশারায় জীবন দিতে প্রস্তুত আট থেকে আশি বছরের যুবক। সেই তিনিই নাকি জীবনে কোনো পুরুষের ভালবাসা পাননি! এমনটাই দাবি বলিউডের নাইকা রেখার। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আজও তার ‘আঁখো কি মাস্তি’ ঘায়েল করে পুরুষকে। রেখা মানেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে দোলা। অথচ ‘উমরাও জান’এর পুরো জীবনই কেটে গেল সম্পর্ক ভাঙা-গড়ায়। আট থেকে আশি যার এক ইশারায় জীবন দিতে প্রস্তুত, সেই তিনিই নাকি জীবনে কোনও পুরুষের ভালবাসা পাননি। তেমনটাই দাবি স্বয়ং রেখার। আর সে কারণেই আজও অপূর্ণ থেকে গেছে রেখার মা হওয়ার সাধ।
বেশ কিছু দিন আগে মুম্বাইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এমন আক্ষেপের কথা বলেছিলেন বলিউডের এই নাইকা। ‘অনেকগুলো সন্তান হবে আমার, এটাই চাইতাম আমি। মাও বলতেন একই কথা। আমারও মনে হয়েছিল, মা ঠিকই বলছেন। আমি চাইতাম, আমার সন্তান স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে আসুক। কোনও কৃত্রিম উপায়ে নয়। কিন্তু তার জন্য এক জন পুরুষ সঙ্গীর অভাব ছিল আমার জীবনে। অচেনা পুরুষের বীর্য নিয়ে বা ‘আইভিএফ’-এর সাহায্যে কোনও দিন মা হওয়ার কথা ভাবিনি।’
১৯৭০ এ ‘শাওন ভাদোঁ’ ছবিতে বলিউডে রেখার আত্মপ্রকাশ। তার অভিনয়, সৌন্দর্য, ব্যক্তিগত জীবন সব কিছুই যেন রহস্যময়, আলো-আধারিতে ঢাকা। মুকেশ আগরওয়ালের সাথে বিয়ে হয়েছিল রেখার। অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ আত্মহত্যা করেন মুকেশ।
এমন খবরও শোনা গেছে, অভিনেতা বিনোদ মেহরার সাথে মালাবদল করেন রেখা। কিন্তু বিনোদের মা মেনে না নেয়ায় সেই বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি পায়নি। তার পুরুষসঙ্গীর তালিকায় রয়েছে বলিউডের অনেক নায়কের নাম। কিন্তু পরিণতি পায়নি রেখার কোনও সম্পর্কই। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে শাঁখাসিঁদুর পরা রেখাকে দেখে বলিপাড়ার আলোচনা পৌঁছেছিল চরমে। অমিতাভ-রেখার প্রেমকাহিনী বাস্তব থেকে ধরা পড়ে সেলুলয়েডের পর্দায়। সেই ‘সিলসিলা’ নিয়ে গুঞ্জন এখনও চলছে