পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল ও দুর্নীতি প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছিলেন সুশীল সমাজের কয়েকজন। তারা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকও করেন। যদিও ঋণ বাতিলে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ড. ইউনূস। দুদকের সে সময়কার কমিশনার জানান, ইউনূসের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল।
পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিলের নেপথ্যে যেভাবে কলকাঠি নেড়েছেন ড. ইউনূস
পদ্মা সেতু ইস্যুতে তখন চারপাশে উত্তেজনা। একদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল ও দুর্নীতির অভিযোগ, অন্যদিকে সুশীল সমাজের কয়েকজন সেটিকে সত্য হিসেবে প্রমাণের চেষ্টায় দিনরাত দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। ওই মুহূর্তেই ঢাকায় এসেছিল বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় সফর।
দলটি ব্যস্ত সময় পার করছিল ঢাকায়। মন্ত্রী, দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করছে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, দুদকের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে কয়েকজন সুশীলের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদলটি। জানা যায়, ওই বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের মতো ব্যক্তিরা ছিলেন। সে সময়ের দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ধারণা, ওই বৈঠকে পদ্মা সেতু নিয়ে নেতিবাচক ধারণা দেয়া হয় বিশ্বব্যাংককে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সৌজন্যে সে সময় ডিনারের আয়োজন করে দুদক। সেখানে উঠে আসে ড. ইউনূস প্রসঙ্গ। প্রতিনিধিদলের এক সদস্যের পরামর্শ ছিল, ড. ইউনূসের সঙ্গে সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলা। এতে ইতিবাচক সাড়া দিতে পারে বিশ্বব্যাংক–এমনটাই জানালেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলে ড. ইউনূস মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বলে জানান দুদকের সাবেক এ কমিশনার। এর সঙ্গে যোগ দেন কয়েকজন সুশীল।