৭ উইকেটের হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরু করল সাকিব আল হাসানের দল। আজ চতুর্থ দিন মাঠে নেমে মাত্র ৭ ওভার খেলেছেন ক্যারিবীয় দুই অপরাজিত ব্যাটার জন ক্যাম্পবেল এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এতেই ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে হারের কারণ বলতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। টেকনিক্যালি সাউন্ড এমন খেলোয়াড় খুব বেশি আছে আমাদের, তা মনে হয় না। আমাদের দলের যারা আছে সবারই টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। তাদের উপায় খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে রান করতে হবে, ক্রিজে থাকতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সাকিব যেহেতু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, টেকনিকে কার কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা ধরতে পারছেন, তবে নেতৃত্ব সামলানো সাকিবের কোচের ভূমিকা পালনে আপত্তি আছে। একই সঙ্গে অধিনায়ক আর কোচের ভূমিকা পালন করার কোনো ইচ্ছেই নেই তার। সাকিব বলেন, ‘দেখেন এটা তো আসলে আমার খুব বেশি আলোচনার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করি অধিনায়কত্বও করি তাহলে তো সমস্যা। আমার কাজ যতটুকু ততটুকুতে থাকা আমার মনে হয় বেটার। আমার দায়িত্ব যতটুকু ততটুকু পালন করার চেষ্টা করব। বাকি যার যে কাজ তা তাদের জায়গা থেকে করলে সবার জন্য কাজটা সহজ হবে।’
এদিকে, এদিন অবশ্য টাইগারদের জন্য পরাজয়টা অবধারিতই ছিল। কারণ চতুর্থ ইনিংসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ বিকালে ৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচকে কিছুটা জমিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ।
কিন্তু জন ক্যাম্পবেল আর জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিলে খালেদ আহমেদের সেই অপ্রতিরোধ্য গতি থামিয়ে দিয়েছিলেন। ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তৃতীয় দিন শেষ করেন। জয়ের জন্য বাকি ৩৫ রান আজ মাঠে নেমে মাত্র ৭ ওভার খেলেই তুলে নেন তারা দু’জন।
তৃতীয় দিনই পরাজয় ঘটে যেতে পারতো টাইগারদের। মিডল অর্ডারে যদি সাকিব আল হাসান আর নুরুল হাসান সোহান ঘুরে না দাঁড়াতেন, তাহলে ইনিংস পরাজয়ের সম্ভাবনাও ছিল। সাকিব-সোহানের জুটিতে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ক্যারিবীয়দের সামনে লিডও এনে দিয়েছিল ৮৩ রানের। সাকিব ৬৩ এবং সোহান করেছিলেন ৬৪ রান।
৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর পেসার খালেদ আহমেদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবিয়রা। ১ রানে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ২ রানে রেমন রেইফার এবং কোনো রান না করেই ফিরে যান এনক্রুমাহ বোনার। এরপরই দাঁড়িয়ে যান ক্যাম্পবেল আর ব্ল্যাকউড। জন ক্যাম্পবেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৭ বলে ৫৮ রান করে এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৫৩ বলে অপরাজিত থাকেন ২৬ রান করে। ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট একাই নেন খালেদ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ৫১ রান সত্ত্বেও বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ২৬৫ রানে। জবাবে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৮৪ রানের লক্ষ্য পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই লক্ষ্য তারা তাড়া করে ২২ ওভারে।