কোনোভাবেই পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। এ অবস্থায় সম্প্রতি তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের দশা হবে শ্রীলঙ্কার মতো।
ইমরান খান তার দেয়া এক ভিডিওবার্তায় পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বলব, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। আন্দোলন করুন। যাদের আয় কম, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। কৃষক-শ্রমিকরা অসহায় দিন কাটাচ্ছে। আপনারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুন। ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, যতদিন নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়া না হয়। আমরা যাচ্ছেতাই কোনো নির্বাচন চাই না। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন।’
ইমরান বলেন, ‘বর্তমান সরকার বলছে, আমরা নাকি জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছি। একবার পেট্রল ও ডিজেলের দামের দিকে তাকান। পিটিআই যেখানে পেট্রলের দাম বাড়িয়েছিল কয়েক রুপি, সেখানে বর্তমান সরকার এ দাম ১০০ রুপি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।’
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার বলছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পলিসির জন্য দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। তবে ইমরান খান এ কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘বর্তমান সরকার আইএমএফের সঙ্গে কাজ করছে দুই সপ্তাহও হবে না। আমরা আড়াই বছর ধরে আইএমএফের সঙ্গে কাজ করেছি। আইএমএফ বলেছিল, আমরা যাতে পেট্রলের দাম বাড়াই। কিন্তু আমরা মানুষের কথা ভেবে আইএমএফের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’
এদিকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অর্থসহায়তা চাইলে ইমরান খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ত্রাণ চেয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের সময় ব্যাংকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৩১ বিলিয়ন ও রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩২ বিলিয়ন। আমি সেনাবাহিনীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার এটা উপযুক্ত সময় নয়। যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সামলাতে পারবে না। এখন নিজ চোখেই অবস্থা দেখুন।’
এদিকে ইমরান খানের ডাকে পিটিআই সমর্থিত কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর, পেশোয়ার, ফয়সালাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সূত্র: ডন