স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট বিভাগ। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত বন্যায়। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের অধিকাংশ ব্রোকার হাউসে লেনদেন হয়নি। পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাউসগুলোতে লেনদেন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য মতে, সিলেট জেলায় মোট ৩৫টি ব্রোকার হাউসের ৪২টি শাখা রয়েছে। এই ৪২ শাখার অধিকাংশ শাখায় রোববার লেনদেন হয়নি। সিলেটের চৌহাট্টায় অবস্থিত এবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নিচতলা পর্যন্ত পানি। ফলে ব্রোকার হাউসটিতে লেনদেন হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাখার দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় এবি সিকিউরিটিজ ছাড়াও বানকো, বিডি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, ডেটন হোল্ডিংস, হ্যাক, আইডিএলসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, পিএফআই, রশিদ সিকিউরিটিজ, সালটা ক্যাপিটাল, শেলটেক ব্রোকারেজ এবং ইউনাইটেডে ফাইন্যান্স ট্রেডিং লিমিটেড অবস্থিত। গতকাল এসব ব্রোকার হাউসের বেশিরভাগ হাউসেই লেনদেন হয়নি। এ ছাড়াও জিন্দাবাজার, সিলেট, জেলগেট, বিশ্বনাথসহ আরও চারটি এলাকায় ব্রোকার হাউস রয়েছে। সিকিউরিটিজ হাউসের লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয়ে মৌলভীবাজারের বিডি সানলাইফের ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান শেখ মো. ফয়সাল বলেন, মৌলভীবাজার এলাকায় ৩টি ব্রোকার, তিনটিতেই লেনদেন হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানির কারণে সিলেটের ব্রোকার হাউসগুলোতে লেনদেন বন্ধ ছিল। এ অবস্থা আর কয়দিন চলবে জানি না। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এবং পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে লেনদেন করা যাবে না।