জামালপুরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় শাকিল আদনান নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাকিল আদনান বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমার পাড়ের চর কাউরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ মার্চ সকাল ১০টার দিকে ওই কলেজছাত্রী প্রাইভেট পড়ে সীমারপাড় এলাকায় কলেজমাঠের কাছে পৌঁছলে শাকিল আদনানের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে যুবক পথরোধ করে অপহরণ করে। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ৯ মার্চ ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শাকিল আদনান, জুমন তালুকদার ও সবুজ মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাকিল আদনানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা, জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাকে একই মামলায় ৭/৯(১) ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। মামলার অপর আসামি জুমন তালুকদার ও সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধ আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ের পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাকিল আদনানকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কোর্ট পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ।