প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষ ডুবে যাবে আর আপনি প্রধানমন্ত্রিত্ব করবেন এটা এদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না।
দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী আপনি প্রধানমন্ত্রী।
অন্য কেউ দায়ী নয়।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এবং বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়ার দাবিতে প্রতীকী অনশনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রিজভী হুঁশিয়ারি উচারণ করে বলেন, জনগণের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে আপনি ঠেলে দেবেন এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে আপনার সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন তাহলে আজকে কেন রাত আটটা থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ঢাকা তো এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাত্রে, না হলে সকালে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আপনি যেসব আইন করেছেন শুধু আপনার লোকজনদের ধনী করার জন্য আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য। আপনাদের লোকজন যাতে বাংলার মানুষের ভাগ্য হরণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং এই টাকাতে বিদেশে পাচার করতে পারে আপনি সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন।
রিজভী বলেন, সিলেটের বন্যা আমরা যা দেখছি সকালে হাঁটুপানি দুপুরের মধ্যে কোমর পানি। গোটা সুনামগঞ্জ শহর রীতিমতো পানিতে ভাসছে। আর আপনি ভাসছেন আনন্দে।
তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৫০ লাখ লোক পানিবন্দি। তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা,আর পদ্মা সেতুর বিচিত্র অনুষ্ঠানে ভারত থেকে নাকি একজন নৃত্যশিল্পী এনেছেন তাকে নাকি দেবেন তিন কোটি টাকা। আর সিলেট-সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রামের বন্যার্ত মানুষ তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা।
সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতিকী অনশনে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।