যাত্রা শুরুর দ্বারপ্রান্তে এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পুরোপুরি প্রস্তুত টোলপ্লাজা। ৫ বছরের জন্য পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া যান চলাচল মনিটরিংয়ে সেতুজুড়ে বসবে সিসি ক্যামেরা। দুই পাড়েই থাকছে ফায়ার স্টেশন। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ির ওজনও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পদ্মা সেতুর ট্রাফিক মনিটরিং করবে সিসি ক্যামেরা, আইন ভাঙলেই ব্যবস্থা জানা গেছে, পদ্মা সেতুর যান চলাচল মনিটরিং করা হবে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। যেসব যান সেতুতে ট্রাফিক আইন বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই ক্যামেরায় ধরা পড়বে। তাৎক্ষণিক নেয়া হবে ব্যবস্থা।
মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোলপ্লাজায় মোট ৬টি করে লেন। ক্যাশ ট্রানজেকশন হবে ৫টি বুথে। আর এক নম্বর লেনটি হবে অটোমেটিক ট্রানজেকশনের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, কত স্পিডে গাড়ি যাচ্ছে, কোনো জায়গায় অ্যাক্সিডেস্ট হলো কি না, এটা কন্ট্রোলরুম থেকেই দেখা যাবে। এ কাজগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাবে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, গাড়ি ব্যবহারকারীরা সবাই ইলেকট্রিক্যালি সংযুক্ত না, তাই প্রথমত কয়েকটা লেন ইলেকট্রনিক কল সংযুক্ত করব। এরপর আরও কয়েকটা লেন ম্যানুয়ালি সংযুক্ত করা হবে।
ইলেকট্রনিক টোল সিস্টেমে গাড়ি থামবে না। ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কেটে যাবে। একটি লেনের বুথে এটি চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। চাহিদা অনুযায়ী বুথ বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বুথ বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে। এটা নির্ভর করে জনগণ ও ঠিকাদারের সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করবে। সব বাস্তবায়ন হবে; নাকি একটাও হবে না সেট ওনারাই ঠিক করবেন।
৬৯৩ কোটি টাকায় ৫ বছরের জন্য পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেএসি) এবং চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এমবিইসি) সঙ্গে।