গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিলকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে নিউইয়র্কসহ দেশটির বিভিন্ন স্থান। এ রায়ের ফলে এখন থেকে দেশটির আর কোনো নারী গর্ভপাতের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা পাবেন না। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (২৪ জুন) গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিল করেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন প্রায় ৫ দশকের পুরনো গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন বাতিলে ঐতিহাসিক রায় দেয় আদালত। শীর্ষ আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে ৬ জনই গর্ভপাত অধিকার প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেন।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তের পর আমি স্তম্ভিত। আদালত মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গর্ভপাত বহু মার্কিন নাগরিকদের কাছে মৌলিক একটি অধিকার। আদালত এমন একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যার ফলে নারীরা এখন ধর্ষকের সন্তানও জন্ম দিতে বাধ্য হবেন।
১৯৭৩ সালে রো ভার্সেস ওয়েড নামের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর থেকেই, বিতর্ক চলে আসছিলো গর্ভপাতের অনুমোদন নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি রাজ্য আগে থেকেই গর্ভপাতকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে আইন ও সংবিধান সংশোধনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাকি রাজ্যগুলো শিগগিরই নতুন আইন পাস করবে। এদিকে আদালতের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ দেশটির শীর্ষ নেতারা।