বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। দুই প্রান্তের ফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইটে। এই সেতু বাংলাদেশিদের স্বপ্ন, বাংলাদেশের গর্ব।
পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতল এই সেতু মূলত বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এটি একদিকে যেমন বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, অন্যদিকে বিভিন্ন বৈশিষ্টের কারণে এই সেতু বিশ্বের অন্যান্য সেতুর মধ্যেও বেশ অনন্য। এসব বৈশিষ্টের মধ্যে আছে ওপরে যানচলাচলের জন্য সড়কপথ ও নিচে রেল চলাচলের ব্যবস্থা এবং বিশ্বের গভীরতম স্প্যানযুক্ত সেতুর তকমা এরই মধ্যে অর্জন করেছে পদ্মা সেতু।
পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, লৌহজংকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমপ্রান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বহুমুখী এই সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু তৈরির মূল সেতুর কাজ সম্পাদন করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
ছবি: জুম আর্থ লাইভ স্যাটেলাইটে পদ্মা সেতু।
পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেতু নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪৭১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ১ হাজার ৪৭১ হেক্টর।