শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০০ থেকে পরের ৩২ রানে ক্যারিবিয়ারদের ৪ উইকেট তুলে দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু পরের দুই সেশনে গেমপ্ল্যান একদম অনুসরণ করেনি বোলাররা। উইকেটের পেছনে ছুটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে বাংলাদেশ। তাইতো খুবই হতাশ হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
ডোমিঙ্গো বলেন, প্রথম সেশনে ভালো করার পর, শেষ দুই সেশন খুবই বাজে ছিলে। আমি খুবই হতাশ বোলারদের পারফরম্যান্সে। লাঞ্চের পর উইকেটের জন্য বল করেছে তারা, তাই লুজ বল হয়েছে। টেস্টে উইকেটের পেছনে নয়, ছুটতে হবে ডট বলের জন্য।
কেবল বোলার নয়, ব্যাটারদের নিয়েও হতাশ এই প্রোটিয়া কোচ। ডোমিঙ্গো বলছেন, টেস্ট খেলার মানসিকতার সাথে এখনও ধাতস্ত না হওয়ায় সফল হচ্ছে না শান্ত, জয়রা। টানা কয়ের সিরিজ ধরে ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসে আউট হওয়ায় বিরক্ত এই কোচ।
ডোমিঙ্গো বলেন, ব্যাটারদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশার কাছাকাছিও নয়। নবম উইকেটে থার্টি প্লাস পার্টনারশিপ না হলে হয়তো প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানে অলআউট হতাম আমরা। উইন্ডিজ দেখাচ্ছে কিভাবে এই উইকেটে ব্যাটিং করতে হয়। সেট হওয়া, বড় জুটি গড়া; এটাই টেস্ট ক্রিকেট।
কিন্তু কেন লম্বা সময় ধরে ভুগছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট? দেশের বাইরেতো বটেই, সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠেও হচ্ছে না প্রত্যাশিত স্কোর। রাসেল ডোমিঙ্গো বলছেন, ৩০-৪০ নয়, টেস্টে প্রত্যাশিত স্কোর করতে হলে সেঞ্চুরি করতে হবে ব্যাটারদের। গেমপ্ল্যানে অটুট থাকতে হবে, নিজের সেরা শক্তির জায়গায় রান নিয়ে করতে হবে বড় স্কোর।
টাইগারদের হেড কোচ জানান, আমাদের ব্যাটাররা অনেকেই অফ ফর্মে। যার রান করছেন ৩০-৪০ এর কোটায় আউট। সর্বোচ্চ ফিফটি। তাইতো স্কোর আড়াইশর মধ্যেই থেমে যাচ্ছে। মেয়ার্সের মতো সেঞ্চুরি না করলে বড় স্কোর হবে না।