সবার আগে পদ্মা পার হতে এসেছেন কেউ কেউ। কেউ আসছেন জরুরি কাজে। এতে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে দেখা গেছে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটারের যানজট। দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য গাড়ি। রোববার (২৬ জুন) ভোরে যান চলাচল শুরুর আগে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
পদ্মা সেতুকে এক নজর দেখতে মাওয়া প্রান্তে ছুটে এসেছেন অনেকেই। অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সারা রাত। উপলক্ষ প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মাসেতু পার হওয়া। গভীর রাত থেকেই তাই মাওয়া প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সকলের কণ্ঠেই পদ্মাজয়ের উচ্ছ্বাস।
ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নেমেই পদ্মাসেতু সংযোগ সড়ক। কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায় মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায়। এ যেন এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের গল্প।
প্রস্তুত টোল প্লাজার সকল আয়োজন। উদ্বোধনী পর্বের সরঞ্জাম অপসারণের পরপরই পুরো সড়ক প্রস্তুত হয়ে যাবে গাড়ি চলাচলের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন শনিবার দুপুরেই। কিন্তু যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপার শুরু হবে রোববার ভোর ৬টায়। কিন্তু এই অপেক্ষাও যেন অসহ্য পদ্মাসেতুতে ওঠার উচ্ছ্বাসের কাছে।
শুধু উৎসুক মানুষই নয়, অনেকেই যাবেন নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি। পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচলের প্রথম সারিতেই থাকতে চান সবাই। তাই তো মধ্যরাতেই মাওয়া টোল প্লাজার আগে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত অপেক্ষমান গাড়ির সারি।
উৎসাহী মানুষের চাপ সামলাতে ক্লান্ত পুলিশ সদস্যরা। এ যেন এক মধুর সমস্যা। কেননা স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নেয়ার আবেগটা যে তাদেরকেও ছুঁয়ে গেছে। সবার প্রত্যাশা এই পদ্মা সেতুর ওপর ভর করেই ওপারের ২১ জেলায় হবে অভাবনীয় অগ্রগতি।