আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন খালেদ আহমেদ- মেহেদী হাসান মিরাজরা। কিন্তু সেটা দ্রুতই নিভিয়ে দিয়েছেন কাইল মেয়ার্স।
নিজে সেঞ্চুরি করেছেন, দলকেও নিয়ে গেছেন নিরাপদ উচ্চতায়।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ১০৬ রানে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৪০ রান। মেয়ার্স ১৮০ বলে ১২৬ ও জশুয়া ডি সিলভা ১০৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত আছেন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ২৩৪ রান।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৩০ ও জন ক্যাম্পবেল অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। দ্বিতীয় দিনে ইনিংসের ২৬তম ওভারে এসে এই দুজনের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
তার বাড়তি বাউন্সে করা শর্ট পিচ বল পুল করতে গিয়ে গতির কাছে হার মানেন ক্যাম্পবেল। ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো নুরুল হাসান সোহানের হাতে। এরপর ছোট একটি জুটি গড়ে ওঠেছিল ব্র্যাথওয়েট ও রেমন রাইফারের।
ক্যারিবীয়ান অধিনায়ককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। আর্ম বলে পরাস্ত হওয়ার আগে ৭৯ বলে ৪৫ রান আসে ব্র্যাথওয়েটের ব্যাট থেকে। ৩১ রানের জুটি ভাঙার পরই ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
২ রানের ভেতর তুলে নেয় তিন উইকেট। মিরাজ ব্র্যাথওয়েটকে ফেরানোর ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ওই ওভারেই তিনি তুলে নেন দুই উইকেট।
৪১ বলে ২২ রান করা রাইফার ও ৭ বলে ০ রান করা এনক্রুমাহ বোনার দুজনকেই বোল্ড করেন তিনি। মুহূর্তেই ধীরে ধীরে ছিটকে যেতে থাকা ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। ১৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় ক্যারিবীয়ানরা।
কিন্তু ফেরার পর নিজেদের জায়গাটা পাকা করে নেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও কাইল মেয়ার্স। দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নেন তারা। মেয়ার্স খেলেন কিছুটা আক্রমণাত্মক। ৮৬ বলে ৬০ রান করে মেয়ার্স ও ১১৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থেকে ব্ল্যাকউড দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন।
বিরতি থেকে ফেরার পর বাংলাদেশকে বেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ব্ল্যাকউডকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এর আগে এই ব্যাটার করেন ১২১ বলে ৪০ রান। দিনের বাকিটা সময় শুধু মেয়ার্সময়। এই অলরাউন্ডার অভিষেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি, এবার পেলেন সেঞ্চুরি। সঙ্গে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বানিয়ে দিলেন শুধুই উইন্ডিজদের।