নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ী গুপ্তপাড়া এলাকায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী (১৮)। তবে প্রেমিকা বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক।
শনিবার (২৫ জুন) রাত থেকে ওই এলাকার প্রেমিক জ্যোতিশ রায় মধুর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ী গুপ্তপাড়া গ্রামের রামকৃঞ্চ বর্মনের ছেলে জ্যোতিশ রায় (১৯)। তিনি রংপুর কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
অনশনে থাকা তরুণীর ভাষ্যমতে, প্রায় চার বছর ধরে জ্যোতিশ রায়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে মধু তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে সম্প্রতি মধু তাকে এড়িয়ে চলছেন। পরে শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘পরে তাকে ফোন দেবেন। কিন্তু পরে আর ফোন দেননি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ওই যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন’।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মধু বাড়িতে আসার পর তার পরিবার জানায়, ‘প্রায় ১০ মাস আগে মধুর সঙ্গে তার খালাতো বোনের আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। মধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবো’।
অভিযুক্ত মধুর বাবা রামকৃঞ্চ বর্মন বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে খালাতো বোনের সঙ্গে মধুর বিয়ে হয়েছে। যদি তার ছেলে বিয়ে না করতেন তাহলে মেয়েটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। বিষয়টি তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ বলেন, মধু খালাতো বোনকে বিয়ে করেছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনাটি ভালো করে জানার পর দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।