পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাটবল্টু খুলে টিকটক ভিডিও করা বায়েজিদ তালহার সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না বলে জানিয়েছেন গোলাম রব্বানী।
রব্বানীর সঙ্গে বায়েজিদের ছবির বিষয়ে নানা জনের নানা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা জানান সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি আসার পর অনেকে প্রশ্ন তোলেন রব্বানীর সঙ্গে বায়েজিদের কিসের এত সখ্য! আবার কেউ কেউ বলছেন, বায়েজিদ ছাত্রলীগ নেতা। তা না হলে কীভাবে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তার ছবি এল।
এসব মন্তব্যের কড়া জবাব দেন রব্বানী। সোমবার তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছেলেকে (বায়েজিদ তালহা) চিনিও না। আর চার বছর আগের একটা ছবি নিয়ে যারা এসব মন্তব্য করছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হয়। আমি রাজনীতি করি। আমার সঙ্গে হাজার হাজার না লাখ লাখ মানুষ ছবি তোলে। তাদের কেউ অপরাধ করলে তো আমি দায়ী না।’
রবিবার পদ্মা সেতুতে যানচলাচল শুরু হয়। ওই দিন সেতুর পাশ্র্ব দেয়ালের লোহার কাঠামোর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করেন বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবক। এ ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা। তাকে ধরতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই দিন বিকালে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
পরে বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। গতকাল বায়েজিদকে আদালতে তোলা হলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান। বায়েজিদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কেউ ছবি তুলতে এলে অপরিচিত হইলে যদি ছবি না তুলতে চাই, তাহলে বলে ভাব নিচ্ছে বা পার্ট নিচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছেলেকে (বায়েজিদ তালহা) চিনিও না। তবে কোনো সময় ছবি তুলেছে। সে ছাত্রলীগ করে না শিবির করে আমি জানি না।
’রব্বানী আরও বলেন, ‘কেউ একজন আমার সঙ্গে ছবি তুলতেই পারে। সে জঙ্গি কি না সেটা তো জানা সম্ভব না।’
ছবি তোলার সময় কারো পরিচয় জানা সম্ভব না জানিয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের ছবি আছে। তাহলে কেন আমার ছবি নিয়ে এসব কথা বলা হচ্ছে। যারা এগুলো বলছে বা করছে তাদের মানসিক দৈন্য ও সংকীর্ণতা আছে। কেউ ছবি তুললে তার দায়ভার তো আমি নিব না।’
যে নাটবল্টু খুলেছে সে অন্যায় করেছে বলে মনে করেন রব্বানী। এই দায় ওই যুবকেরই। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘এখন মোবাইলের যুগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। এসময়ে যে কারো সঙ্গে কারো ছবি থাকতে পারে। আর আমরা তো রাজনীতি করি। তবে যে নাটবল্টু খুলেছে, সে অন্যায় করেছে।’