হারটা একপ্রকার নিশ্চিতই হয়েছিল। সোমবার নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংস হার এড়িয়ে ১২ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রানের। এই লক্ষ্য পেরোতে মাত্র ১৭ বল খেলে গোটা ১০ উইকেটে জিতেছে উইন্ডিজ।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দলকে হোয়াটওয়াশের স্বাদ দিয়ে সাদা পোশাকে টাইগারদের বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ নিয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দলের বিপক্ষে শেষ ৪ দেখায় টানা ৪ পরাজয় বাংলাদেশের, সব মিলিয়ে ২০ টেস্টে এটি ১৪তম পরাজয়।
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২২ বছরে ১৩৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সাদা পোশাকে হারের সেঞ্চুরি পূর্ণ করল তারা। যেখানে ১০০ হারের বিপরীতে টাইগারদের জয় ১৬টি ও ড্র আছে ১৮টি।
ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে এ হার টেস্টে বাংলাদেশ দলের শততম। মাত্র ১৩৪ ম্যাচেই পরাজের সেঞ্চুরির স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল।
সাকিব বাহিনী অ্যান্টিগায় তিনদিনেই পরাজিত হয়েছিল। সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচেও একই চিত্রনাট্য। ব্যাটারদের ভরাডুবিতে তিন দিনেই আবারো হারের শঙ্কা চেপেছিল। যদিও বৃষ্টি ভাগ্যে শেষমেশ তা হয়নি। খেলা গড়ায় চতুর্থ দিনে।
বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের দুটি সেশন মাঠেই গড়ায়নি। তৃতীয় সেশনে স্থানীয় সময় বিকেলে খেলা শুরু হতেই আবারো সেই বিপর্যয়। আগের দিনে বাকি থাকা চার উইকেট টিকল মাত্র ৫৪ বল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রানেই গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
যদিও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে কোনো রকমে ইনিংস হারের লজ্জা এড়ায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা উইকেটকিপার এ ব্যাটার ৫০ বলে ৬০ রানের ক্যামিওতে দলকে লিড এনে দেন। তবে যোগ্য সঙ্গ না পাওয়ায় মাত্র ১২ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
সহজ লক্ষ্য পেরোতে ক্যারিবীয়দের খরচ করতে হয়েছে কেবল ১৭ বল। কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল।