অর্ধশতক ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে মঞ্চনাটকের দল থিয়েটার। অনেক দিন পর নতুন প্রযোজনা মঞ্চে আনছে দলটি। নাটকের নাম ‘পোহালে শর্বরী’। এর মাধ্যমে ১৩ বছর পর নতুন নাটকের চরিত্র হয়ে মঞ্চে দেখা দেবেন তানভীন সুইটি। আগামী শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় হবে পোহালে শর্বরীর প্রথম মঞ্চায়ন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে থাকছে আরেকটি শো। পরদিন শনিবার একই সময়ে এ নাটকের আরও দুটি শো হবে।
হিন্দি ভাষার সাহিত্যিক সুরেন্দ্র বর্মার গল্প থেকে পোহালে শর্বরী বাংলায় অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক। নির্দেশনা দিচ্ছেন রামেন্দু মজুমদার। ত্রপা মজুমদার থাকছেন সংযুক্ত নির্দেশনায়। মহামাত্য চরিত্রে অভিনয়ও করবেন তিনি। রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘নাটকটির প্রতিটি চরিত্রের জন্য আমরা দুজন করে অভিনেতা তৈরি করেছি। ফলে একদিকে যেমন দলের বেশি কর্মী কাজের সুযোগ পেয়েছেন, কারও সমস্যার কারণে যেন প্রদর্শনী থেমে না যায়, তাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।’
রামেন্দু মজুমদার নব্বইয়ের দশকে নাটকের দল থিয়েটারের সঙ্গে পথচলা শুরু হয় তানভীন সুইটির। এ দলের হয়ে ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘স্পর্ধা’, ‘ক্রীতদাস’, ‘মুক্তি’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পোহালে শর্বরী নাটকে সুইটি অভিনয় করবেন শীলবতী চরিত্রে। এ চরিত্রের আরেক অভিনেত্রী তানজুম আরা পল্লী। প্রথম দিনের দ্বিতীয় শো এবং দ্বিতীয় দিনের প্রথম শোতে দেখা যাবে সুইটিকে। বাকি দুটি প্রদর্শনীতে শীলবতী হয়ে মঞ্চে থাকবেন পল্লী। তানভীন সুইটি বলেন, ‘১৩ বছর পর মঞ্চে আমার নতুন নাটক আসছে। এ কারণে অনেক দিন অন্য কোনো কাজ করিনি। আমি যখন যেটা করি, সেটা নিয়েই থাকতে পছন্দ করি।’ পোহালে শর্বরী মঞ্চে আনার জন্য অনেক দিন ধরেই মহড়া করছেন থিয়েটারের কর্মীরা। রামেন্দু মজুমদার জানিয়েছেন, দুই বছরের বেশি সময় আগে এ নাটকের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে মাঝে প্রস্তুতি থেমে গিয়েছিল।