পরিবর্তন চান সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। তবে অভিজাত এই ফরম্যাটে টানা ব্যর্থতার দায় শুধু ক্রিকেটারদের দিতে নারাজ সাকিব। দুই দশক পেরোলেও দেশে কিংবা দলে টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে না ওঠার কারণ সামনে আনছেন দলের অন্যতম এই সিনিয়র ক্রিকেটার।
টেস্ট ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না। সিরিজের আগে অধিনায়ক পরিবর্তন হলো, মাঝপথে একাধিক ক্রিকেটার ঢাকা থেকে গিয়ে একাদশেও জায়গা পেলেন। কিন্তু ফল কিংবা দলের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন নেই, শুধু অসহায় আত্মসমর্পণ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, আমরা যতটা ক্যারেক্টার শো করতে পারতাম যতটা আমাদের ক্যাপাবিলিটি আছে ক্যারেক্টার শো করার যতটা টাফ আমরা হতে পারি ততটা টাফ আমরা ছিলাম না।
পরিবর্তন চান সাকিব। ক্রিকেটারদের মনোবল, আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তার অপেক্ষায় অধিনায়ক। অথচ এই ফরম্যাটে এখন আর নবীন দল নয় টিম টাইগার্স।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, পরিবর্তন আনতে হবে। সেটার জন্য আসলে আমাদের নিজেদের চিন্তাগত পরিবর্তনটাও খুব জরুরি। তাই সে জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করার আছে।
দুই দশক পেরিয়েও দেশে কিংবা দলে টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে না ওঠার আক্ষেপ সাকিবের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, খেলোয়াড়দের এখানে খুব বেশি দোষ দেয়াটা ঠিক হবে না। শুধু খেলোয়াড়দেরই দোষ দিলে হবে না। আমাদের দেশের সিস্টেমটাই কিন্তু এমন। আপনি কবে দেখছেন বাংলাদেশে ৩০ হাজার বা ২৫ হাজার দর্শক মাঠে এসেছে টেস্ট দেখতে? ইংল্যান্ডে তো প্রতি ম্যাচে (টেস্ট) এরকম দর্শক থাকে। টেস্টের সংস্কৃতিটাই আমাদের দেশে ছিল না কখনো, এখনো নেই। সবাই মিলে যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা করে আগানো যায় তাহলেই হয়তো কিছু সম্ভব হবে। নইলে আসলে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের টেস্টের সংস্কৃতিই নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অধ্যায় শেষ। এখন টি টোয়েন্টিতে মনোযোগ দলের। এশিয়া কাপের দারুণ প্রস্তুতির লক্ষ্য সাকিবের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, খুব ভালো একটা মাইন্ডসেট নিয়ে যাওয়ার জন্য হেল্প করবে শ্রীলঙ্কাতে। কারণ আমরা জানি এশিয়া কাপটা খুবই কঠিন হবে। যেখানে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এই তিনটা এশিয়ার মধ্যে ভালো একটা দল।
শনিবার শুরু সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ। তিন টি টোয়েন্টির প্রথম দুটি ডমিনিকায়।