ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে চাকরি পেয়েছেন। ফেসবুকে তাঁর বার্ষিক বেতনের প্যাকেজ ১ কোটি ৮০ লাখ রুপি। খবর এনডিটিভির।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর নাম বিশাখ মণ্ডল। তিনি গুগল ও আমাজন থেকেও চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু বেশি বেতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের চাকরির প্রস্তাবটিই বেছে নেন তিনি।
বিশাখ মণ্ডল ফেসবুক থেকে বার্ষিক যে বেতন প্যাকেজ পাবেন, তা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকার সমান।
চলতি বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বিদেশি কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন প্যাকেজ বিশাখ মণ্ডলের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বিশাখ মণ্ডল। ফেসবুকে তাঁর কর্মস্থলে হবে লন্ডন। সেপ্টেম্বরে তিনি লন্ডন যাবেন।
ইন্ডিয়া টুডেকে বিশাখ মণ্ডল বলেন, ‘আমি সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে যোগ দেব। এই চাকরি গ্রহণ করার আগে আমি গুগল ও আমাজন থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমি ভেবেছি, ফেসবুকের চাকরির প্রস্তাবটি বেছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ, তাদের প্রস্তাবিত বেতন প্যাকেজ অন্যদের চেয়ে বেশি।’
বিশাখ মণ্ডলের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক থেকে চাকরির প্রস্তাবটি পান।
বিশাখ মণ্ডল বলেন, করোনা মহামারিকালে গত দুই বছর তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করেন। সেই সুবাদে তিনি তাঁর পাঠ্যক্রমের বাইরের জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পান। এই বিষয়ই তাঁকে চাকরির সাক্ষাৎকারে ভালো করতে সাহায্য করেছে।
বিশাখ মণ্ডলের বাড়ি বীরভূম জেলায়। জেলার একটি সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা। বিশাখ মণ্ডলের মা শিবানী। তিনি গ্রামীণ শিশুযত্ন কেন্দ্রের (অঙ্গনওয়াড়ি) একজন কর্মী।
ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিবানী। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়।’ বিশাখ মণ্ডল ছোটবেলা থেকেই মেধাবী বলে জানান তাঁর মা শিবানী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট অফিসার সমিতা ভট্টাচার্য বলেন, মহামারি শুরুর পর এই প্রথম তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতসংখ্যক আন্তর্জাতিক চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ৯ জন শিক্ষার্থী গত বছর বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন।