বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজন করা হয়েছে ভিন্ন ঘরানার এক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার। স্থূলকায় নারীদের নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার নাম ‘মিস অ্যান্ড মিসেস প্লাস বাংলাদেশ’। রিয়েল হিরোজ এক্স প্রো অ্যান্ড কমিউনিকেশনস এই উদ্যোগ নিয়েছে।
‘মিস অ্যান্ড মিসেস প্লাস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে অডিশন দেন ৩০০ জন। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ৭০ জনকে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেই অডিশনে বিচারক হিসেবে ছিলেন চিত্রনায়িকা রোজিনা, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, চিত্রনায়ক ইমন প্রমুখ। অডিশন ও গ্রুমিং পর্ব শেষে বর্তমানে এ প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল সিলেকশন চলছে বলে জানা যায়।
স্থূলকায় বা মোটা নারীদের প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয় নানা কটাক্ষ, সমালোচনা। শুধু শারীরিক গড়নের কারণে অনেকেই তাদের হেয় করেন। অথচ তাদের মধ্যেও থাকে প্রতিভা। কিন্তু সেটা প্ল্যাটফর্মের অভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন না। তাই ‘মিস অ্যান্ড মিসেস প্লাস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া স্থূলকায় নারীরা প্রত্যেকেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মালা খন্দকার বলেন—‘দিনে দিনে যেসব প্রতিযোগী বেশি উন্নতি করছে, তাদেরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ ফাইনাল পর্যন্ত পারফেক্ট পারফরম্যান্স লাগবে। আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়, ইচ্ছা অনেক বেশি। আমাদের ভালো কিছু করে দেখাতে হবে।’
কে কতটা ফর্সা বা মোটা তার কোনো গুরুত্ব নেই এই প্রতিযোগিতায়। বিষয়টি উল্লেখ করে মালা খন্দকার বলেন—‘বডি শেমিং বন্ধ করো’—এটি আমাদের প্রথম স্লোগান। প্রতিযোগীদের মধ্যে কে কতটা ফর্সা, কতটা মোটা, কার উচ্চতা কত, এসব গুরুত্ব দিচ্ছি না। আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন করছি। তাদের মধ্যে নাচ, গান, আবৃত্তি, ক্যাটওয়াক ইত্যাদি বিষয়গুলো বিচার করছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দিকে। কারণ এখান থেকে বের হওয়ার পর তারা যেন সুন্দরভাবে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।’’
গ্র্যান্ড ফিনালে বিজয়ীকে ঢাকা টু দুবাই ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে উপহারসামগ্রী দেওয়া হবে। তা ছাড়াও অভিনয় ও র্যা ম্পে হাঁটার সুযোগ পাবেন।