নতুন করে আর গ্রামীণফোনের সিম কিনতে পারবেন না গ্রাহক। মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় দেশের শীর্ষ অপারেটরটির সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তকে অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছে গ্রামীণফোন।
হুটহাট কলড্রপ। কথা শুনতে না পারা। ইন্টারনেটের ধীরগতি- দেশের টেলিকম সেবা নিয়ে এমন অভিযোগ গ্রাহকদের। সম্প্রতি দেশব্যাপী বিটিআরসির করা ড্রাইভ টেস্টেও উঠে এসেছে টেলিকম সেবার করুণ চিত্র।
দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ। বিপরীতে তরঙ্গ রয়েছে ১০৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ। এরমধ্যে ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ দিয়ে ২০২৩ সাল থেকে অপারেটরটি গ্রাহক সেবা দিতে পারবে। তারপরও প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের বিপরীতে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে এ হার মাত্র এক লাখ।
এমন পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে না পারায় দেশের শীর্ষ অপারেটরটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল বিটিআরসি। সেবার মান উন্নত না করা পর্যন্ত নতুন করে কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না জিপি।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, তাদের সেবা উন্নত করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে বিটিআরসির অভিযোগকে অস্বীকার করেছে গ্রামীণফোন। তাদের দাবি নিয়ন্ত্রক সংস্থার জরিপে বেঁধে মানদণ্ডে উর্ত্তীণ হয়েছে তারা। তারপরও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সর্বশেষ নিলাম থেকে ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনা হয়েছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তে হতাশ তারা।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনসের খায়রুল বাশার বলেন, বিটিআরসি এবং ইন্টান্যাশালন টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বেঞ্চমার্কে আমাদের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করছি। সুতরাং এমন একটি বিষয়ে যখন কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া একটি চিঠি আসে, এটি আসলে আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।
সার্বিক বিষয় নিয়ে দ্রুতই বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।