প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এই সেতুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড়ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ের মিসিং লিঙ্ক হিসেবে কাজ করবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাঙালি জাতিকে কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবে না।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে চলতি বছরের নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হয়। পরে স্পিকার সংসদের সমাপনী সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে শোনান।
বন্যাদুর্গত সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসন কাজও চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসে ভাদ্র মাসের দিকে। সরকার সেই বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই বন্যাও আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।’ পদ্মা সেতু এই বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে আবারো ক্ষমতায় এসে এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। সর্বশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি।’