কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টের নিয়মিত বিল ও বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পৃথক পৃথক হিসাব চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এভাবে হিসাব দেয়নি। উল্টো তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আপনারা শুনলেও আশ্চর্য হবেন!
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় কুমিল্লা মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৩ মার্চ হাইকোর্ট সমিতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন ও মেঘনা ভিলেজে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নির্দেশ দেন।
পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে আমরা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারছিলাম না। এ কারণে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করি। আপিল বিভাগ আজ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিমাসে তিন লাখ টাকা করে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন।