নেটদুনিয়ায় সারা বছর আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে থাকা বগুড়ার ‘হিরো আলম’-এর নাম এবার গরুর হাটেও সাড়া ফেলেছে। শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার এক যুবক শখের বসে পালন করা একটি ষাঁড়ের (গরু) নাম রেখেছেন হিরো আলম। আর সেই ষাঁড়টিই এখন আলোচনায়।
কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত এই হিরো আলমের ওজন ২২ মন। আর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট এবং উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। বগুড়ায় কোরবানির গরুর হাটে জেলা শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার যুবক জিয়াম শখের বসে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় লালন-পালন করে নাম দিয়েছেন ‘হিরো আলম’। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। গরুটি একনজর দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করছে।
জিয়াম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, নিজ বাড়িতে তৈরি খামারে জন্ম নেওয়া ফ্রিজিয়ান জাতের এই বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন। নিয়মিত খাবার ও পরিচর্যা করার ফলে দিনে দিনে এই গরুটির ওজন বেড়ে ৯০০ কেজি বা ২২ মণ হয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হয়। পাশাপাশি নিয়মিত দুবার করে গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা ও রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
গরুটি তিনি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে গরুটি তিনি কোনো হাটে না নিয়ে বাড়িতে খামারে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও বিবরণ দিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছেন।
বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ায় গরু দেখতে আসা রাকিবুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, গরুটি দেখতে বেশ বড়। কালো ও সাদা রঙের এত বড় গরু তিনি এর আগে দেখননি। তিনি গরুটির সঙ্গে সেলফি তুলে ফিরে যান।
প্রসঙ্গত, এবার আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলার ১২টি উপজেলার ৪৬ হাজার ১৫ জন খামারি মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৯৫টি গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৫টি। চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬৭ হাজার ৯২০টি।