মেয়রের বিয়ের অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী নাচে-গানে মাতোয়ারা সবাই। তবে কনের বেশে সাধারণ কেউ নয় রীতিমত মাংসাশী প্রাণী কুমির। মেয়র বরের কিনা কুমির কনে! ব্যতিক্রমী এ বিয়ের আয়োজন হয়েছে মেক্সিকোর ওজাকা প্রদেশে। আনন্দ আয়োজনে মাতে শহরবাসী। বর্ষ পুরাতন এ রীতিকে প্রকৃতির সাথে মানুষের যোগসূত্র স্থাপন বলে মনে করে স্থানীয় আদিবাসীরা। মূলত প্রকৃতির কাছে সমৃদ্ধি প্রার্থণা করাই এ রীতি পালনের মূল উদ্দেশ্য।
অদ্ভুত এ বিয়ের আয়োজন হয়েছে মেক্সিকোর ওজাকা প্রদেশে। শতবর্ষ পুরানো রীতির সূত্র ধরেই এমন আয়োজন করে সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রকৃতির সাথে মানুষের যোগসূত্র গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রার্থণা করে তারা। কামনা করে প্রকৃতির আশীর্বাদ।
কুমিরের সাথে মানুষের এ বিয়েতে কমতি ছিল না কোনো আয়োজনে। আদিবাসী আয়োজনের সাথে যোগ হয়েছে খ্রিস্টান বিয়ের রীতি। সে অনুযায়ী আগে থেকে নির্বাচিত করা হয় বউয়ের একজন গডমাদার। শুভক্ষণে রীতিমত সাদা গাউন, গহনা আর অন্যান্য অনুসঙ্গে সুসজ্জিত হয়ে হাজির করানো হয় কুমির কনেকে।
হাসি-আনন্দের ছলে বিয়ের গোটা আয়োজন হলেও শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলেন সবাই। কেননা দিন শেষে নববধূ এক হিংস্র মাংসাশী। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই কুমিরটির মুখ বেধে রাখা হয় দড়ি দিয়ে।