সুখের আশায় আরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তসলিমা আক্তাকে। কিন্তু বিয়ের পর সম্পত্তি, ফ্ল্যাট তার নামে লিখে না দেওয়া ও খরচের টাকার জন্য স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তসলিমা। স্বামীকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা শুরু করেন যেকোন মূল্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াবা কিনে ঘরে রেখে খবর দেন র্যাবকে।
কিন্তু র্যাব-৭ তসলিমার কৌশল বুঝতে পেরে উল্টো তাকেই ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেন। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার খিদিরপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মধ্যরাতে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার তসলিমা আকতার (২৫) একই উপজেলার উত্তর করলডেঙ্গা গ্রামের জালাল আহাম্মদের মেয়ে। তার কাছ থেকে ৪৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর বহদ্দারহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, মাদকদ্রব্য কেনাবেচার জন্য মজুত রাখার খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরে বিষয়টি সাজানো নাটক মনে হওয়ায় স্ত্রীকে আটক করেন তারা।
তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রুমের মধ্য সিরামিকের মালামাল রাখার কার্টনের ভেতর থেকে ৪৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্ত্রী তসলিমা স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবাগুলো তিনি নিজে কিনে ঘরে রেখে র্যাবকে খবর দিয়েছিলেন। তার স্বামী প্রথম স্ত্রীর তুলনায় তাকে খরচের টাকা কম দিতেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে থাকা একটি ফ্ল্যাট তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বললেও স্বামী তাতে অস্বীকৃতি জানান। এতে তিনি স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। তাকে বোয়ালখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।