পদ্মা সেতুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল যুক্ত হওয়ায় এ পথের সব বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিনগত রাত ১২টা থেকে এ রুটের যানবাহনের টোল আদায় শুরু হয়। এর আগে, বুধবার (২৯ জুন) বিআরটিএ নতুন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর ঢাকার সায়েদাবাদ দিয়ে মাওয়া, ভাঙ্গা ও মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। ৪০ সিটের বাসে আসনপ্রতি ভাড়া ৪৫৪ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে আসনপ্রতি ভাড়া ৩৫৬ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে গোপালগঞ্জের দূরত্ব ১৪৫ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার। এ পথে চলাচলকারী ৪০ সিটের বাসের ভাড়া ৪২৩ টাকা আর ৫১ সিটের বাসের ভাড়া ৩৩২ টাকা।
গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ২০৭ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪০ সিটের বাসে ৫৭৫ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ৪৫৬ টাকা।
ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ২৫৭ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ২১১ টাকা। বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু, মাওয়া ও জাজিরা হয়ে শরীয়তপুরে যাওয়ার আরেকটি পথ আছে। এ পথের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ২৫৭ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ২০১ টাকা।
মাওয়া, ভাঙ্গা ও বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের দূরত্ব ২০৬ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৫৮০ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ৪৫৫ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট হয়েও পিরোজপুরের একটি রুট আছে। এ পথের দূরত্ব ২২৭ কিলোমিটার। এ রুটের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৬১৯ টাকা আর ৫১ সিটের বাসে ৪৮৬ টাকা।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ও বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার। এ রুটের ভাড়া ৪০ সিটে ৫৬১ টাকা, আর ৫১ সিটে ৪৪০ টাকা। মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে মাদারীপুরের দূরত্ব ১১১ কিলোমিটার। এ পথে ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৩৪৪ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ২৭০ টাকা।
মাওয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও খুলনা হয়ে সাতক্ষীরার দূরত্ব ২৫৭ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৬৮৯ টাকা,আর ৫১ সিটের বাসে ৫৪১ টাকা। মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে ফরিদপুরের দূরত্ব ১০২ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৩২৩ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ২৫৩ টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী হয়ে পর্যটন শহর কুয়াকাটার দূরত্ব ২৭৬ কিলোমিটার। এ পথের ভাড়া ৪০ সিটের বাসে ৭৬৭ টাকা, আর ৫১ সিটের বাসে ৬০১ টাকা।