সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত ছিল স্মার্ট আইডি কার্ড। এ বছরে প্রশাসনের আশ্বাসে নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্মার্ট আইডি কার্ডকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও প্রকাশিত আইডি কার্ডের ডিজাইন ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান ও গ্রন্থাগরিক সুলতানা ইয়াসমিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ আইডি কার্ড বিতরণ করার তথ্য জানান।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে নতুন এ স্মার্ট আইডি কার্ডকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও প্রকাশিত আইডি কার্ডের ডিজাইন ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঙলা কলেজের স্মার্ট আইডি কার্ডের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কঠোর সমালোচনা করছে কলেজটিতে আইডি কার্ডের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।
ইসমাইল হোসেন মেশকাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ”ফিতাগুলি সেই আগের মতই খ্যাত মার্কা আছে। ফিতার মান আরো উন্নত করা যেতে পারতো। ডিজাইনটিও অনেক লোকাল হয়েছে। মনে হচ্ছে ডিজাইনারের বড় অভাব পড়েছে”!
আব্দুল হাই নামে আরও এক শিক্ষার্থী বলেছেন, খুবই নিম্নমানের আইডি কার্ড ডিজাইন। বাঙলা কলেজের পরিবার গ্রুপে এ যদি ডিজাইন চাইত তাহলে, আমাদের বাঙলা কলেজের অনেক প্রফেশনাল ডিজাইনার ছিল তারা ফ্রি ডিজাইন করে দিত। তাছাড়াও এখনো যদি ডিজাইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, জানাতে পারেন। আমরা অনেকেই আছি কলেজের জন্য একটি ফ্রি আইডি কার্ড ডিজাইন করে দিব।
এটা অনার্সের স্টুডেন্টদের আইডি কার্ড নাকি শিশু শ্রেণির? এর থেকে আগেরটা আরো স্মার্ট ছিলো! ফিতা ও মোটা করে নাই আবার আইডি কাডের লিখা ইংরেজি ফিতার লিখা বাংলা বলেছেন সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন।
মারুফ নামে শিক্ষার্থী নিজের টাইম লাইনে পোস্টে লিখেছেন, ডিজাইনটা এক্সের ওয়াও হইছেনা? কিন্ডারগার্টেন স্কুলেও এই ডিজাইন করে না। আমগো ডিজিটাল আইডি কার্ড লাগবো না । আগেরটাহ ভালো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঙলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিটুল চৌধুরী দৈনিক যুবকণ্ঠকে বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্লাস্টিক করলে ভালো হতো তবে এ বিষয়ে পুরোপুরি জানিনা কথা বলে জানাবো।