রংপুর বিভাগের চার জেলার করোনা পরীক্ষার এক মাত্র পিসিআর মেশিন দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে নষ্ট হয়ে আছে। দীর্ঘ দিন ধরে মেশিনটি বিকল অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রংপুরের বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। এতে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে দুর্ভোগে পড়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর বলছে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে রোগী বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা রোগীদের শনাক্ত করার জন্য দেড় বছর আগে রংপুর বিভাগের আট জেলার জন্য দুটি পিসিআর মেশিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে একটি রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ও দিনাজপুরের আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে স্থাপন করা হয়। রংপুর মেডিক্যালের পিসিআর মেশিন রংপুর সিটি করপোরেশন ও পুরো জেলা ছাড়াও গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার রোগীদের করোনা পরীক্ষা হয়। পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ১৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। করোনার প্রকোপ কমে এলেও পরীক্ষা চলছিল। সাড়ে তিন মাস আগে পিসিআর মেশিনটি বিকল হয়ে যায়। চেষ্টা করেও সচল করা যায়নি।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পিসিআর মেশিন বিকলের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হলে দুজন বিশেষজ্ঞ পিসিআর মেশিনটি সচল করার চেষ্টা করেন ও ব্যর্থ হন। এরপর পিসিআর মেশিনটি আর সচল করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বিমল চন্দ্র স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দিয়ে জানান। স্বাস্থ্য অধিদফতর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামিম আহাম্মেদ বলেন, ‘পিসিআর মেশিনটি দেখভাল করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ঢাকায় চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি। সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা তারাই বলতে পারবেন। রংপুরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা র্যািপিড টেস্ট চালু রেখেছি।’
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপাতত জরুরি কিছু পরীক্ষা দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও রংপুর সিএইমএইচে করানো হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’